নতুন টিকায় পোলিওমুক্ত হতে যাচ্ছে বিশ্ব

পোলিও নির্মূলে আগের টিকার পরিবর্তে বিকল্প এক টিকা ব্যাবহারের উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশ। নতুন টিকার মাধ্যমে পোলিওর জন্য দায়ী ভাইরাসের অবশিষ্ট দুটি প্রজাতিকে ধ্বংস করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিকল্পনামাফিক আগামী দেড় বছরের মধ্যে ভ্যাক্সিন পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন শুরু, রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা

আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে এখনও পোলিও নির্মূল করা যায়নি

তবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পোলিও নির্মূলের জন্য যে ভ্যাক্সিন সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিলো তা হঠাৎ করে পাল্টানো একটু কঠিনই হবে। এক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাস ১৫৫টি দেশে ভ্যাক্সিন পরিবর্তনের ইস্যু পর্যবেক্ষণের জন্য হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন থাকবেন। তবে নতুন ভ্যাক্সিনটিও আগের মতোই খাওয়ানো যাবে। অর্থাৎ ড্রপ হিসেবে মুখে দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়া ১৯৯৯ সালে নির্মূল হওয়া টাইপ টু পোলিও ভাইরাসের জন্য ব্যবহৃত ভার্সনটিও নতুন ভ্যাক্সিনে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি সৌদি আরবের

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর গবেষক স্টিফেন কোচি বলেন, ‘বর্তমান ভ্যাক্সিনটি তিন ধরনের পোলিও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। তবে আমাদের জন্য টাইপ টু ধ্বংসকারী উপকরণ দরকার নেই, কারণ পৃথিবীতে এখন আর এর অস্তিত্ব নেই। বরং এ ধরনের ভ্যাক্সিন চালু থাকলে ভ্যাক্সিনজাত ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা থাকে, যদিও তা বিরল ঘটনা। তারপরও ভ্যাক্সিন থেকে টাইপ টু বাদ দেওয়া হলে সে ঝুঁকি আর থাকবে না।’

আফগানিস্তানে এক শিশুকে পোলিও ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ৭৪ জন পোলিও আকান্ত শনাক্ত হয়েছেন। আর এ বছর শনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। যারা শনাক্ত হয়েছেন তারা সবাই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিক। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আফ্রিকা সম্পূর্ণভাবে পোলিওমুক্ত রয়েছে। সূত্র: বিবিসি

 

/এফইউ/বিএ/