সিরিয়ার ইদলিবে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ৪৪

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, মানারাত আল নুমান শহরের হামলায় ৩৭ জন এবং পার্শ্ববর্তী কাফরানবেল শহরে আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারি এবং বিদ্রোহীদের মধ্যকার শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়েছে।  

আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্ক প্রাইমারিতে ট্রাম্প ও হিলারি জয়ী

অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকরের পর থেকে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সরকারি বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার দিয়ে ইদলিবের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে হামলা চালায় বলে বিদ্রোহীদের স্থানীয় কোঅর্ডিনেশন কমিটি দাবি করেছে।

আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘হস্তক্ষেপ’ কমাতে বললেন জানকার

এছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশ এবং উপকূলীয় লাতাকিয়া প্রদেশেও সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার লাতাকিয়ায় বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে। মূলত এর পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পায়।

বিমান হামলায় আহতদের অবস্থাও ভালো নয়

সিরিয়ায় গত কয়েকদিনে সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাত সপ্তাহ ধরে চলা অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়েছে। এর আগে সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতারা সহিংসতার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করে জানিয়েছিলেন, তারা জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে না। আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে ওই শান্তি আলোচনা আগেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি বাহিনী চুক্তি ভঙ্গের জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে।

আরও পড়ুন: ৯/১১-কে ৭/১১ হিসেবে উল্লেখ করলেন ট্রাম্প!

এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, শান্তি আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়নি। এখনও সরকারি পক্ষ এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি।

/এসএ/