উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্যাটেলাইট পরীক্ষা চালায় দেশটি। আর এ দুটি ঘটনাকেই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন বলে মনে করা হয়। এরপর মার্চের শুরুর দিকে পিয়ংইয়ং-এর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ ও ওয়াশিংটন। সে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
এসব পারমাণবিক পরীক্ষাকে আত্মরক্ষামূলক প্রস্তুতি হিসেবে উল্লেখ করেন রি সু ইয়ং। পারমাণবিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার অধিকারিউত্তর কোরিয়ার রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সু ইয়ং এর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রই তার দেশকে এ ধরনের আত্মরক্ষামূলক অস্ত্র তৈরিতে বাধ্য করেছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া বাতিল করা হলে তা আলোচনার দুয়ার খুলে দেওয়ার পাশাপাশি উত্তেজনা কমাবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই-পঞ্চম-পারমাণবিক-পরীক্ষা-চালাবে-উত্তর কোরিয়া
তবে যৌথ এ সামরিক মহড়াকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার রক্ষার চিহ্ন বলে উল্লেখ করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
এদিকে শনিবার উত্তর কোরিয়ায় পানির নিচ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, ‘পানির তলায় এ ধরনের অপারেশন চালানোর মতো প্রয়োজনীয় প্রযক্তিগত সক্ষমতা ক্ষেপণাস্ত্রটির রয়েছে।’ সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/