কেবল সামরিক প্রচেষ্টায় সিরীয় সঙ্কটের সমাধান হবে না: ওবামা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, কেবলমাত্র সামরিক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সিরীয় সঙ্কটের নিরসন সম্ভব নয়। সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর স্থলযুদ্ধের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অথবা ব্রিটেন সিরিয়ায় স্থলসেনা পাঠিয়ে আসাদ সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করলে তা হবে বড় ভুল।’

ওবামা

ওবামা মন্তব্য করেন, তার শাসনামলের শেষ নয় মাসে সশস্ত্র সুন্নিপন্থী সংগঠন আইএসকে (ইসলামিক স্টেট) নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আইএসের অভিযানের পরিসর আস্তে আস্তে সঙ্কুচিত করে আনার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, মার্চে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস-র উদ্যোগে করা এক বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে  ডেইলি মেইলের এক খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে নিজেদের দখল করা প্রায় ১০ শতাংশ ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সুন্নিপন্থী সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আর ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৪ মাসে সিরিয়া ও ইরাকে দখল করা ২২ শতাংশ ভূমি হারিয়েছে তারা। আইএইচএস-র বিশ্লেষণে বলা হয়, তুর্কি-সিরীয় সীমান্তের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে আইএস তেল চোরাচালান থেকে আসা আয়ের ৪০ শতাংশ হারায়। নিরাপত্তা সূত্রগুলো তাদের জানায়, সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া যুক্তরাজ্যের জিহাদিদের সংখ্যাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।

আরও পড়ুন: তিনমাসে দশ শতাংশ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আইএস

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ওবামা সিরিয়া পরিস্থিতিকে বিচিত্র জটিলতায় ভরা এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এর কোনও সহজ সমাধান নেই। আমাদের জন্য সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটের সমাধান করার কাজটি শুধুই সামরিক প্রক্রিয়া ও স্থলঅভিযানের মধ্য দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়।’

আইএস

ওবামা জানান, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাকার মতো জায়গাগুলোতে বিমান হামলা অব্যাহত রাখবে। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরীয় সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের জন্য রাশিয়া-ইরানসহ সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসাতে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: আইএসের হাত থেকে সিরীয় শহর পুনরুদ্ধার

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর ধরে সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নিহত হন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ লাখ মানুষ। সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল

/বিএ/