শরণার্থী জীবন থেকে রক্ষা পেতে গাছে চড়লেন কুর্দি সাংবাদিক!

বেহরোজ বৌচানিগল্পটা এক কুর্দি সাংবাদিকের। অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন তিনি। তবে তা পাননি তিনি। সম্প্রতি তাকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করে পাপুয়া নিউ গিনি। তবে শরণার্থী হিসেবে থাকতে চান না তিনি। তাই প্রতিবাদে সামিল হন ওই সাংবাদিক। রবিবার মানুস দ্বীপে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়াতে চড়ে বসেন এক গাছে।
শরণার্থী হিসেবে গ্রহণের পর তাকে আরেকটি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার কথা, যেখানে তাকে পুনর্বাসিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হলো শিশু
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে ওই কুর্দি সাংবাদিক ও লেখক বেহরোজ বৌচানি বলেছেন, ২০১৩ সালে তিনি ইরানে পালিয়ে যান, আর সেখান থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পাপুয়া নিউ গিনিতে আসিনি। আমি এখানে শরণার্থী হওয়ার আবেদনও করিনি।’ তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাপুয়া নিউ গিনিতে নিয়ে আসা হয় বলে দাবি করেন বৌচানি।
আরও পড়ুন: বিমানে কানহাইয়ার গলা চেপে ধরলেন ‘মোদির সমর্থক’
দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে এক ভিডিও ফুটেজের কথা উল্লেখ করেছে। যেখানে দেখা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে সাতটায় খালি গায়ে ওই কুর্দি সাংবাদিক এক গাছে চড়ে বসেন। সেদিনই তাকে ওই শরণার্থী শিবির থেকে অন্য একটি পুনর্বাসনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার রাজনৈতিক এবং পশ্চিমা সভ্য মূল্যবোধের জন্যই এখানে এসে পৌঁছেছি।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রাবি শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের খবর
উল্লেখ্য,  আশ্রয়প্রার্থী প্রায় ৫০০ মানুষকে পাপুয়া নিউ গিনিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে মানুস দ্বীপের প্রায় ১৬০ জন আশ্রয়প্রার্থী জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর কাছে অনুরোধ করেছেন, তাদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করার জন্য। তারা পাপুয়া নিউ গিনি-তে পুনর্বাসিত হতে চান না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এসএ/বিএ/