আজ (২৫ এপ্রিল) ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ দফায় রাজ্যের ৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩টি ও হাওড়ার ১৬টি আসন। হুমকি, ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়া এবং বিক্ষিপ্ত হামলা চালানো হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের তীর এবারও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই।
বিরোধী শিবিরের কর্মী-সমর্থক, সাধারণ ভোটার, এমনকি কয়েক জন প্রার্থীকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম-কংগ্রেসের একাধিক কার্যালয়ে হামলার খবরও জানা গেছে। তবে সকাল থেকেই সাধারণ মানুষ হাজির হয়েছেন ভোটের লাইনে। ভোট দিয়ে ফেরার পথেও আক্রান্ত হয়েছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ইয়েমেন শান্তি আলোচনা স্থগিত
দুপুর ১ টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল উত্তর ২৪ পরগনায় ৫২.১২ শতাংশ এবং হাওড়ায় ৫২.৪৩ শতাংশ। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২ হাজার ৫০০। এসব কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে আটকাতে জোটবদ্ধ ক্রুজ-কাসিচ
দমদম উত্তর কেন্দ্রের সুকান্ত নগরে বিরোধী দলের সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। ভোট দিয়ে ফেরার পথে কয়েক জনকে মারধর করা হয়। অভিযোগের তীর ক্ষমতাসীন দলের দিকে। সুকান্ত নগরে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের ওপর তৃণমূলের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানে কানহাইয়ার গলা চেপে ধরলেন ‘মোদির সমর্থক’
হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার মোট ৪৯টি বিধানসভা আসনের প্রায় প্রতিটি জায়গা থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে এমন বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। এসব হামলা যেমন বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর চালানো হয়, তেমনি সাধারণ ভোটারদের ওপর চড়াও হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, পুরোপুরি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন চলছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
/এসএ/