ইথিওপিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নিহত অর্ধশতাধিক

ইথিওপিয়ায় সরকারবিরোধী প্রতিবাদে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে পুলিশ। দেশটির ওরোমিয়া ও আমহারা এলাকায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে পুলিশের হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।

বিরোধীদলীয় নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫০ জন। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, নিহতের সংখ্যা ৯০ জনের বেশি। বেশিরভাগই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

ওরোমিয়া অঞ্চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাক দেওয়া প্রতিবাদে সাড়া দিয়ে লোকজন রাস্তায় প্রতিবাদে নামে। পুলিশ তাদের লক্ষ্য টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং বেশ কিছু সড়ক বন্ধ করে দেয়।

ওরোমো পিপলস কংগ্রেসের নেতা মেরেরা গুডিনা বলেন, আমরা খবর পেয়েছি ওরোমিয়াতে ৪৮-৫০ জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে কারণ অনেকেই আহত হয়েছেন।

এক কূটনীতিক নিশ্চিত করেছেন ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে নেকেমতে শহরে। এখানে ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কূটনীতিক জানিয়েছেন, আমহারা অঞ্চলের রাজধানী বাহির দার এলাকায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিহতের সংখ্যা ৯৭ বলে জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ওরোমিয়াতে ৬৭ জন ও আমহারাতে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। শনি ও রবিবারে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে।

গত এক সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়া সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে ওরোমিয়াতে একের পর এক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হতে থাকে। রাজধানীর আশেপাশের বেশ কিছু এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের ফলে এসব বিক্ষোভ শুরু হয়।

শনি ও রবিবারের প্রতিবাদের সময় বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। অনেকে বিরোধী রাজনীতিকদের মুক্তি দাবি করেন।

ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এ বিক্ষোভকে ‘শান্তিবিরোধী শক্তি’ দ্বারা ‘বেআইনি প্রতিবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও নিহতের সংখ্যা কিছু বলা হয়নি। সূত্র: আল-জাজিরা।

/এএ/