অলিম্পিক বিচ ভলিবলে হিজাব পরে আলোচনায় এলগোবাসি

কে বলে বিচ ভলিবল খেলতে হলে মেয়েদের বিকিনি পরেই খেলতে হয়? যদিও এই খেলাটি সৈকতেই বেশ জনপ্রিয়। এ কারণে বিচ ভলিবলের সঙ্গে বিকিনি পোশাককে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নেন। তবে এবারের রিও অলিম্পিকে মিসর ও জার্মানির মেয়েদের ভলিবল ম্যাচ ভিন্ন কিছু প্রত্যক্ষ করলো। খেলায় দুই টিমের সাংস্কৃতিক পার্থক্যও ওঠে এসেছে। তথাকথিত ভলিবল খেলার পোশাকের ধারণাও ভেঙে দিয়েছে।

মিসরীয় দলের ডয়া এলগোবাসি বিকিনির পরিবর্তে মাথায় হিজাব ও লম্বা পাজামা পরে ভলিবল খেলতে নামেন। তার সঙ্গি নাদা মিয়াওয়াদ হিজাব না পরলেও লম্বা পাজামা আর লেগিংস পরেন। আর জার্মান মেয়েরা পরেন চিরাচরিত বিকিনি পোশাক।

এর আগে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন খেলার পোশাকের নির্দিষ্ট মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে নির্দিষ্ট পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। ফলে মেয়েদের লম্বা পাজামা ও লেগিংস পরে খেলতে নামার ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না।

নিয়ম শিথিল হওয়ার ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি অনুসারে পোশাক পরতে পারছেন ভলিবল খেলোয়াড়েরা। এ কারণে অনেক মুসলিম দেশের মেয়েরা হিজাব ও ধর্মীয় পোশাক পরেই অলিম্পিকে অংশ নিতে পারছেন।

৪০ মিনিটের খেলায় জার্মানির কাছে হারলেও এলগোবাসি মিসরের হয়ে প্রথমবারের অলিম্পিক বিচ ভলিবলে অংশ নিতে বেশ আনন্দিত। খেলা শেষে বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি বলেন, দশ বছর ধরে আমি হিজাব পরছি। হিজাব পরার কারণে আমি যা পছন্দ করি তা থেকে দূরে থাকতে হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে বিচ ভলিবলও।

মেয়াওয়াদ ও এলগোবাসি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেই অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েছেন।

ভলিবল ফেডারেশনের মুখপাত্র রিচার্ড বেকার জানান, খেলোয়াড়দের সাংস্কৃতিভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্যই পোশাকের নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মানুষকে ভলিবল খেলায় নিয়ে আসা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্সার ইবতিহাজ মুহাম্মদ তার ক্যারিয়ারজুড়েই হিজাব পরেছেন। তিনিই প্রথম অ্যাথলেট যিনি চুল ঢেকে অলিম্পিকে খেলতে নামেন। সূত্র: আরটি।

/এএ/