মিসরে পুলিশ হত্যায় ২০ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

ShowImage.ashxমিসরে ২০১৩ সালের বিক্ষোভে সহিংসতায় ১১ পুলিশ হত্যায় ২০ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এ সহিংসতার মুখে সেনাবাহিনী ইসলামি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুৎ করেছিল। রবিবার দেশটির আদালত এ রায় দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ১৫৬জন। মিসরের সামরিক সরকার এই সহিংসতায় মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করে আসছে। কায়রোর নিকটবর্তী গিজা প্রদেশে এ সহিংসতা ঘটেছিল।

২০১৩ সালে ১৪ আগস্ট ইসলামি বন্দুকধারীরা রকেট চালিত গ্রেনেড একটি পুলিশ ফাঁড়ি লক্ষ্য নিক্ষেপ করে। এতে পুরো ফাঁড়িতে আগুন লেগে যায়। এ সময় ১১ পুলিশ নিহত হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর নিরাপত্তা বাহিনী সহিংস উপায়ে বিক্ষোভ দমন করে। এতে কয়েকশ মানুষ নিহত হন।

বিচারপতি শেরিন ফাহমি রায় ঘোষণার সময় বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই একটি গ্রুপ সংঘবদ্ধভাবে করেছে। কেউ কেউ নিজেই হত্যা করেছে, কেউ চুরি বা আগুন লাগিয়েছে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় পাহারা দিয়েছে যাতে করে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে হবে। কেউ হয়ত মসজিদের মাইক কাজে লাগিয়ে নাগরিকদের ব্যবহার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধা দিয়েছে। যদি এসব কাজ করা না হতো তাহলে হয়ত এই অপরাধ সংঘটিত হত না।

রায়ে ৮০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছেন। এক নাবালককে ১০ বছরের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। রায়ে ২১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অপর একটি আদালত ১৮৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। এর মধ্যে ২৮ জনের অনুপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। বাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত রবিবার এই রায় দিয়েছে। রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা আবারও আপিলের সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ওই সময়কার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন। এক বছর পরে সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/