ইসলামে ‘বিটকয়েন’ হারাম: মিসর

অনলাইনে অর্থবিনিময়ের মাধ্যম ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘বিটকয়েন’ ইসলাম ধর্মে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছে মিসরের দার আল ইফতা। সোমবার এই ফতোয়া দেওয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে।

ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েনের প্রতীকী চিত্র

দার আল ইফতা জানায়, বিটকয়েন দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কেন্দ্রীয় আর্থিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে।

মিসরের গ্র্যান্ড মুফতির উপদেষ্টা মাগদি আশৌর জানান, এই মুদ্রা সরাসরি সন্ত্রাসীদের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়। যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি।

আশৌর আরও জানান, এই মুদ্রার কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। যা ইসলামে চুক্তি বিনষ্ট করা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এজন্য তা হারাম।

মিসরের আগে সৌদি আরবের এক মন্ত্রী আসিম আল-হাকিম বিটকয়েনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বিটকয়েন লেনদেন অবৈধ ঘোষণা করে।

বিটকয়েন হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল সাংকেতিক মুদ্রা। এটি লেনদেন হয় ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে। এর লেনদেনের জন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংকের প্রয়োজন হয় না। যার ফলে একে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও সংস্থাও পৃথিবীতে নেই। এটিকে যেমন অনেকেই সুবিধা বলে বিবেচনা করে থাকেন, তেমনই এটিই এই মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংশয়।

বিটকয়েনের চাহিদা এবং মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ডলারের বিপরীতে ১টি কয়েনের বিনিময় মূল্য ৪১৯.৭৫ ডলার থাকলেও এ সপ্তাহে এর বিনিময় মূল্য ছিল ১৪৩১৭.৮৬ ডলার। প্রায় প্রতিদিনই এর দাম বাড়ছে। দেড় বছরে দাম বেড়েছে প্রায় চারগুণ। বাংলাদেশি টাকায় একটি বিটকয়েনের দাম এখন প্রায় ১২ লাখ টাকা। অস্বাভাবিক হারে এই বিনিময় মূল্য বাড়ার কোনও কারণ জানা নেই খোদ ব্যবহারকারীদেরও। তারপরও একটি গোষ্ঠী দিন দিন ঝুঁকছে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময়ের পেছনে।