নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলায় বিজ্ঞান কলেজের ১১০ ছাত্রী নিখোঁজ

নাইজেরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের আক্রমণের পর থেকে ১১০ ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্ব অঞ্চলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ চালানোর পর থেকে নিখোঁজ ওই ছাত্রীরা।  নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এই ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রাথমিকভাবে ১৩ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানা গেলেও রবিবার পর্যন্ত ১১০ জনের নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সূত্রে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

110

নাইজেরিয়ার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১০ ছাত্রী নিখোঁজ

বোকো হারামের জংগিরা নাইজেরিয়ার ইয়োব প্রদেশের দাপচি শহরে গত সপ্তাহে অনুপ্রবেশ করে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের অনেকেই সেনাবাহিনীর মতো দেখতে পোশাক পরে ছিল। প্রথমে সেনাপোশাক দেখে বিভ্রান্ত হলেও পরে বুঝতে পেরে বহু শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দাপচির সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের ১১০ জন ছাত্রীর নিখোঁজ থাকার তথ্যটির সত্যতা কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত করেছে।’

নিখোঁজের এই ঘটনার পর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।  রাজ্য পুলিশ, ইয়োবের প্রাদেশিক সরকার এবং অন্যান্য সূত্ররা ৫০ থেকে ১০০ জনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছিল। কয়েকজনকে খুঁজে পাওয়ার পর জানাও হয়েছিল, নিখোঁজের সংখ্যা ১৩। নিখোঁজ নারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একজন পরবর্তীতে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন সংখ্যাটি ১০৫।  শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১১০ জন নিখোঁজ।

নিখোঁজ ছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে দেখা করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী লাই মহাম্মেদ জানিয়েছেন, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তাদের খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে। এদিকে রবিবার নাইজেরিয়ার বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ ছাত্রীদের খুঁজে বের করার জন্য বিমানবাহিনীর প্রধান সর্বশক্তি নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন। তার আদেশে উত্তরপূর্ব অঞ্চলে বিমান বাহিনীর সংরক্ষিত সব সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। এখন তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিখোঁজ ছাত্রীদের খুঁজে বের করা।

নাইজেরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে, ২০১৪  সালে চিবুকের ঘটনার পরে এটিই সবচেয়ে বড় অপহরণের ঘটনা। উল্লেখ্য,নাইজেরিয়ায় ২০০৯ সালে বোকো হারামের তৎপরতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।