দক্ষিণ সুদানে ২১০ শিশুযোদ্ধা উদ্ধার

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান থেকে ২১০ শিশুযোদ্ধাকে মুক্ত করা হয়েছে। দেশটিতে বিবাদমান বহু পক্ষই যুদ্ধের জন্য শিশুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। সংবাদমাধ্যম আফ্রিকা নিউজ জানিয়েছে, ‘ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেন ফান্ড’ (ইউনিসেফ) শিশু যোদ্ধাদের মুক্ত করার জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২১০ জনকে নিয়ে এ বছরে উদ্ধার করা শিশুযোদ্ধার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৮০৬ জনে।1024x576_469229

স্বাধীন হওয়ার মাত্র দুই বছরের মাথায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় দক্ষিণ সুদানে। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ওই গৃহযুদ্ধ শুরু করেছিল প্রেসিডেন্ট সাল্ভা কিরের অনুগত বাহিনী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের অনুগত বাহিনী। এরপর বিদ্রোহীদের মধ্যে অনেক উপদল তৈরি হয়েছে। গৃহযুদ্ধে হাজারে হাজারে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, দেশটিতে চলছে তীব্র খাদ্য সঙ্কট। ২০১৫ সালে হওয়া চুক্তি কার্যকরের জন্য সরকার ও বিরোধী পক্ষ গত ডিসেম্বরে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে মিলিত হয়েছিল। কিন্তু সেখানে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি সমঝোতা অকার্যকর হয়ে পড়ে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে।

যে ২০১০ শিশুযোদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল এসপিএলএম-আইও নামের সংগঠনে। আরেকটি সংগঠন ‘ন্যাশনাল সালভেশন ফ্রন্ট’ থেকে ছাড়া পেয়েছে ৮ জন। জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে আরও ১ হাজার শিশুযোদ্ধার মুক্তির বিষয়ে তারা আশাবাদী। ইউনিসেফের ধারণা, দক্ষিণ সুদানে প্রায় ১৯ হাজার শিশুযোদ্ধা রয়েছে। ২০১৩ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সংস্থাটি আড়াই হাজারেরও বেশি শিশুযোদ্ধাকে মুক্ত করেছে।

জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, উদ্ধার করা শিশুদের জন্য পিবর শহরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তারা অস্ত্র সমর্পন করে। সামরিক পোশাকের বদলে তাদেরকে সাধারণ পোশাক দেওয়া হয়। আয়োজকরা ওই শিশুদের পরিবারের জন্য তিন মাসের খাদ্য সরবরাহের কথা জানিয়েছেন। তাছাড়া ওই শিশুদের কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হবে যাতে তারা স্বনির্ভর হতে পারে।