দক্ষিণ সুদানের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দক্ষিণ সুদানের ৬ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব উত্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার প্রস্তাবনাটির খসড়া থেকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানতে পেরেছে, ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচী বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বৃহস্পতিবার প্রস্তাবনাটির ওপর ভোট গ্রহণ হবে। স্থায়ী সদস্যদের কারও ভেটো না পাওয়া ও অন্তত ৯ সদস্যের সম্মতি নিশ্চিত করতে হবে ওই প্রস্তাবটি পাস করাতে। এর আগে দক্ষিণ সুদানে বিবাদে জড়িত উভয়পক্ষের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিন্তু ২০১৬ সালে দেশটির বিরুদ্ধে অস্ত্র ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।s3.reutersmedia.net

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব যদি এবার পাস হয়ে যায় তাহলে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দক্ষিণ সুদানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তারা অন্য দেশে ভ্রমণ করার সুযোগও হারাবেন। যাদের বিরুদ্ধ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে তারা হলেন, দক্ষিণ সুদানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কুয়োল মানিয়াং জুক, সাবেক সেনাপ্রধান পল মালং, তথ্যমন্ত্রী মাইকেল লুয়েথ, দক্ষিণ সুদান সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস বিভাগের প্রধান মালেক রিউবেন রিয়াক রেঙ্গু, বেইহ রাজ্যের গভর্নর কোয়াং রামবাং এবং মন্ত্রীপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন এলিয়া লোমপুরো। দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র  মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাউইন মাকোল রয়টার্সকে বলেছেন, সরকার নতুন নিষেধাজ্ঞা ও মার্কিন প্রস্তাব সম্পর্কে অবহিত। তার ভাষ্য, ‘আমরা এখনও বলছি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কোনও সমাধান নয়। ব্যক্তি বিশেষের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটাও সমাধান নয়। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সব পক্ষকে উৎসাহিত করতে হবে।’

২০১১ সালে সুদান থেকে বিচ্ছিন হয়ে দক্ষিণ সুদানের জন্ম হয়। স্বাধীন হওয়ার মাত্র দুই বছরের মাথায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সেখানে। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ওই গৃহযুদ্ধ শুরু করেছিল প্রেসিডেন্ট সাল্ভা কিরের অনুগত বাহিনী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাকারের অনুগত বাহিনী। এরপর বিদ্রোহীদের মধ্যে অনেক উপদল তৈরি হয়েছে। গৃহযুদ্ধে হাজারে হাজারে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, দেশটিতে চলছে তীব্র খাদ্য সঙ্কট।