সোমালিয়ায় আত্মঘাতী হামলা, শাবাবের দায় স্বীকার

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সরকারি ভবন প্রাঙ্গণে বিস্ফোরণটি ঘটায়। এতে নিকটবর্তী একটি স্কুল ভবন বিধ্বস্ত হয়। হামলায় তিন সেনা সদস্যসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৪ জন, যাদের মধ্যে ছয়জন শিশু। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে, নিকটস্থ ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণে উড়ে গেছে একটি মসজিদের চাল। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব।সোমালিয়ায় শাবাবের হামলা

 

১৯৯১ সালে সেনা শাসনের অবসান হওয়ার পর থেকে সোমালিয়াতে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট মোহামেদ সিয়াদ বারে ক্ষমতাচ্যুত হলে দেশের যুদ্ধবাজ গোত্রপতিরা হানহানিতে জড়িয়ে পড়ে। দেশটি থেকে সোমালিল্যান্ড ও পুন্টাল্যান্ড নামের দুটি অঞ্চল আলাদা হয়ে যায়। সোমালিয়া কার্যত একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২০১২ সালে দেশটিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে বাধাগ্রস্ত করা সম্ভব হলেও সোমালিয়ার গ্রামীণ এলাকায় তারা এখনও তৎপর।

স্থানীয় কর্মকর্তা সালেহ হাসান ওমর জানিয়েছেন, হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটি নিয়ে সরকারি ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেনা সদস্যরা তাকে বাধা দেয়। এতে সে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় এবং তিন সদস্য প্রাণ হারান। পরবর্তীতে আরও তিনজনের মৃত্যু হওয়ার কথা জানতে পেরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঘটনাস্থলের কাছে ছিলেন রাকিয়া মাহাম্মেদ আলি নামের একজন নারী। তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ হয়। পরে অনেক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তার ভাষ্য, ‘আমি যখন বেরিয়ে আসি, তখন দেখি অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। মারাও গেছেন কেউ কেউ।’

রবিবারের হামলার বিষয়ে আল শাবাবের মুখপাত্র আব্দিয়াসিস আবু মুসাব বলেছে, ‘এই আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় আমাদের। আমরা জেলা অফিসকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালিয়েছিলাম, যেখানে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। আমরা ১০ জনকে হত্যা করেছি। আরও বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’