তানজানিয়ায় ফেরি উল্টে নিহত শতাধিক, নিখোঁজ দুইশ

তানজানিয়ায় একটি ফেরি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির অন্তত দুইশ যাত্রী। বৃহস্পতিবার বিকালে দেশটির লেক ভিক্টোরিয়াতে ফেরি উল্টে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে। তানজানিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত রেডিও চ্যানেলের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে ডুবুরিরা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।savee

ডুবে যাওয়া ফেরিটির নাম এমভি নেরেরে। বৃহস্পতিবার বিকালে কেরিউই ডকের মাত্র কয়েক মিটার দূরে থাকতেই যাত্রী সমেত সেটি উল্টে যায়। ফেরিতে অন্তত ৩০০ জন যাত্রী ছিল। ওয়ানজা বন্দরর আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার জোনাথন শানা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই যাত্রীদের ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে শুক্রবারে আরও অনেক উদ্ধারকারী কাজে যোগ দেয়। স্থানীয়রাও উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করছে।

ওয়ানজা এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে। কার কার স্বজন প্রাণ হারিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। আর যারা জানতে পেরেছেন স্বজন হারাবার তথ্য তারা শোকের পাশাপাশি নতুন ফেরির দাবিও জানিয়েছেন। এমনই একজন এদিথা জোসেফাত মাগেসা। তার ভাষ্য, ‘আমাকে ফোন করে আমার বাবা, ভাই ও ফুপুর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই অত্যন্ত শোকগ্রস্ত। সরকারের কাছে আবেদন করছি, যেন পুরাতন ফেরিটি বদলে নতুন ফেরির ব্যবস্থা করা হয়। এই অঞ্চলে যে সংখ্যক মানুষের বসবাস করে তার তুলনায় ফেরিটি অনেক ছোট ছিল।

বিবিসি লিখেছে, মূলত ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করার কারণেই ফেরিটি উল্টে গেছে।

গত কয়েক বছরে তানজানিয়ায় আগেও এমন বড় ফেরি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৬ সালে একটি ফেরি ডুবিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় আটশ জন। এমভি বুকোবা নামের ওই ফেরির উল্টে যাওয়ার ঘটনাটি গত শতকে ঘটা ফেরি দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। ২০১২ সালে তানজানিয়ায় আরেকটি ফেরি দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে মারা গিয়েছিল ১৪৫ জন। ওই ফেরিটি জানজিবার দ্বীপপুঞ্জে আটকে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। এর আগের বছর আরেকটি ফেরি দুর্ঘটনায় জানজিবারে ২০০ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন।