মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কপ্টিক খ্রিস্টানদের ক্ষোভ

মিসরে গত শুক্রবার (২ নভেম্বর) একটি আশ্রম থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত কপ্টিক খ্রিস্টানদের মধ্যে ছয় জনকে শনিবার কবরে শায়িত করা হয়েছে। এ সময় ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৭ সালে একই স্থানে একইভাবে চালানো হামলার দায় স্বীকার করা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী গতকালের হামলার ঘটনারও দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।স্বজনদের আহাজারি

শুক্রবারের হামলাটি ঘটেছে মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনিয়াতের কাছে। বাসের যাত্রীরা সেইন্ট স্যামুয়েল ক্রিশ্চিয়ান মোনাস্ট্রি থেকে ফিরছিলেন। তারা সোহাগ প্রদেশ থেকে মরুভূমি মধ্যে অবস্থিত খ্রিস্টান ধর্মীয় স্থাপনাটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তাদের বহনকারী দুইটি বাস লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। মোনাস্ট্রির আর্চবিশপ আনবা মাকারিয়াস জানিয়েছেন, অন্তত সাতজনের প্রাণহানির পাশাপাশি ১৪ জন আহত হয়েছে হামলার ঘটনায়।

মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গি দমনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল। শনিবার আর্চবিশপ মাকারিয়াস পুলিশ সদস্যদের তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানালে ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ আসে। নিহত খ্রিস্টানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, তিনি নিহতদের শহিদ হিসেবে গণ্য করেন এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবেন।

শনিবার বিশপ মাকারিয়াস মন্তব্য করেছেন, ‘বিষয়টি একই সঙ্গে দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। দুঃখজনক এ জন্য যে এমন ঘটনার আবারও ঘটল। আর বেদনাদায়ক এই জন্য, যাদের বিরুদ্ধে ঘটল তারা এই দেশের, এই সমাজেরই অংশ।’ কপ্টিক খ্রিস্টানরা মিসরের মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশ। তারা অব্যাহতভাবে হামলার মুখে রয়েছে। গত ডিসেম্বরেও একটি গির্জার কাছে চালানো হামলায় ১১ জন কপ্টিক খ্রিস্টান প্রাণ হারিয়েছেন।