সামরিক হেলিকপ্টারের ভিডিও করায় মিসরে গ্রেফতার ব্রিটিশ শিক্ষার্থী

সামরিক হেলিকপ্টারের ভিডিও করায় মিসরে লিবীয় বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে প্রথমে একজন আইনজীবী দেওয়া হলেও পরে সেই আইনজীবী নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অভিযুক্তের স্বজনরা মিসরের হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অভিযুক্ত মুহাম্মেদ ফাথি আবুলকাশেম (১৯) যুক্তরাজ্যের এ লেভেল স্তরের শিক্ষার্থী। তিনি মিসরে বেড়াতে গিয়েছিলেন।4721f0b3fa504b07b3e87411e5c4406d_18

মিসরে মুহাম্মেদ ফাথিকে গ্রেফতারের বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে উড়ে যেতে থাকা একটি হেলিকপ্টারকে পেছেন রেখে মোবাইল ফোনে নিজের ভিডিও করেছিলেন তিনি। এদিকে তিনি যে হোটেলে ছিলেন সেখান থেকেও তার গতিবিধির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেই সূত্রে তাকে বিমান বন্দরে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তার মোবাইলে হেলিকপ্টারের ভিডিওটি পাওয়া যায়।

মুহাম্মেদ ফাথি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে থাকেন। লিবিয়াতে বসবাসরত দাদির সঙ্গে দেখা করতে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে লিবিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভ্রমণের উদ্দেশে ২১ নভেম্বর তিনি পৌঁছান মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়াতে। তার সঙ্গে ছিলেন তার চাচাত বোন শারিন নাওয়াজ।

নওয়াজ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, মোহাম্মেদ ফাথিকে গ্রেফতারের ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যদের কিছু জানতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি নাওয়াজদের শুধু এটুকুই জানাতে পেরেছেন, তাকে মিসরীয় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

মিসরে সামরিক স্থাপনা সংক্রান্ত কোনও কিছুর ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু নওয়াজের ভাষ্য, ‘যদি তারা এতো কড়াকড়িই করতে চায় তাহলে তাদের উচিত হবে না এভাবে প্রকাশ্যে সামরিক হেলিকপ্টার ওড়ানো।’

মোহাম্মেদ ফাথি আবুলকাশেমের মুক্তির জন্য তার পরিবার যুক্তরাজ্য সরকারে কাছে পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিসরে তার আটক হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেনি।