ধর্ষণ প্রতিরোধে সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গত বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো। সেখানে গত এক বছরে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির ফলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে ও বিচারের আওতায় আনাতে সরকারকে বেগ পেতে হবে না।_105562357_hi052158696
দেশটিতে সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে প্রবল উদ্বেগ দেখা দেয়। খোদ প্রেসিডেন্টের ভাষ্য থেকে জানা গেছে, সিয়েরা লিওনে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীদের এক তৃতীয়াংশই শিশু। যারা এসব ঘটনায় দায়ী তাদেরকে শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। সমালোচকরা জানিয়েছেন, সেখানে ধর্ষণের অনেক ঘটনাতেই সাজা প্রদানের ঘটনা ঘটে না।
গত বছর ধর্ষণের সাড়ে আট হাজার মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। তার আগের বছর এ সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন মাত্র ৭৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ধর্ষণের এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটে যা আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয় না।
প্রেসিডেন্ট বায়ো বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) একজন ইবোলা আক্রান্তের ভাষ্য শুনছিলেন স্টেট হাউসে। সেখানে তিনি জানতে পারেন, ওই ইবোলা আক্রান্ত নারী একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তার দেওয়া ঘটনার বর্ণনা শুনে প্রেসিডেন্ট বায়ো ঘোষণা করেন, শিশুদের ধর্ষণ করা ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হবে এবং সেটা তখন থেকেই কার্যকর করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে পুলিশের একটি আলাদা বিভাগ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতে একটি বিশেষায়িত আদালত স্থাপন করবেন। তিনি যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন, তার লক্ষ্য কোনও ধরনের বিলম্ব ছাড়াই ধর্ষণের ঘটনা রোধে সরকারি ব্যবস্থা কার্যকরের পথ তৈরি করা। জরুরি অবস্থা জারির কারণে শিশু ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে দেশটির সংসদের কাছে আইন পাসের অনুরোধ করা লাগবে না।