লিবিয়ায় অভিবাসী বন্দিশিবিরে হামলা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘ

লিবিয়ার একটি অভিবাসী বন্দিশিবিরে বিমান হামলায় ৪৪ জন নিহতের ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। মঙ্গলবার রাতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির তাজুরার একটি আটক কেন্দ্রে এই হামলা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

_107727905_mediaitem107727900

২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে সহিংসতা ও বিভক্তি চরম আকার ধারণ করে। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে সেখানে মানবপাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। আফ্রিকা অঞ্চলের অভিবাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে আটক ইউরোপগামী অভিবাসীদের বন্দিশিবিরগুলোর করুণ চিত্র বারবারই তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার মিশেল বাখেলেট জানান, তাজুরা আটককেন্দ্রে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০০ অভিবাসী ও শরণার্থী বন্দি রয়েছে। বিমান হামলায় অনেক প্রাণ হারিয়েছেন। আহতও হয়েছেন অনেকে। আমাদের ধারণা চূড়ান্ত হিসেবে আরও বেসামরিক হতাহতের কথা জানা যাবে। তাজুরা আটককেন্দ্রসহ ত্রিপোলিতে প্রায় ৩৩০০ অভিবাসী ও শরণার্থী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া সহিংসতার ঝুঁকি তো রয়েছেই।

মিশেল বাখেট বলেন, পরিস্থিতি অনুসারে এই হামলা হয়ত যুদ্ধাপরাধ। দ্বিতীয়বারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রটি হামলার শিকার হলো।

নিহতদের বেশিরভাগই সাব-সাহারা অঞ্চলের নাগরিক এবং তারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের হামলায় আরও অন্তত ১৩০ জন আহত হয়েছেন। সরকার হামলার জন্য জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনীকে দায়ী করছে। আর হাফতারের সেনারা উল্টো সরকারি সেনাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিজেদের আলোচ্যসূচি পরিবর্তন এনেছে। বুধবার রাতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।