নিরাপদ স্থানে সরানোর দাবিতে লিবিয়ায় শরণার্থীদের অনশন

লিবিয়ার তাজৌরা বন্দিশিবিরে আটক শরণার্থীরা সেখান থেকে সরানোর দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা নতুন হামলার আশঙ্কায় বন্দিশিবির থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।

DETAINED-MIGRANTS-LIBYA

গত মঙ্গলবার রাতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির তাজুরার একটি অভিবাসী বন্দি শিবিরে হামলায়  ৬০ জনের মতো নিহত হয়। এই হামলার ঘটনা ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। নিহতদের বেশিরভাগই সাব-সাহারা অঞ্চলের নাগরিক এবং তারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। মঙ্গলবারের হামলায় আরও অন্তত ১৩০ জন আহত হয়েছেন। সরকার হামলার জন্য জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনীকে দায়ী করে। আর হাফতারের সেনারা উল্টো সরকারি সেনাদের ওপর দায় চাপায়।

বন্দি শিবিরে আটক শরণার্থীরা নতুন হামলার আশঙ্কা করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে করে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় সেজন্য তারা অনশন শুরু করেছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বন্দি অভিবাসীদের শহরের নিরাপদ অংশে সরিয়ে নেবে। তবে বন্দিরা দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানের বদলে সাময়িক সময়ের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও জেনারেল হাফতারের ভয়াবহ সংঘর্ষের মধ্যে এই অনশনের খবর এলো। এপ্রিলে হাফতার বাহিনী ত্রিপোলির দিকে অভিযান শুরুর পর থেকে সংঘর্ষে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

অভিবাসীদের এই অনশনে ইউরোপের অভিবাসননীতি নিয়ে বিতর্ক ফের উসকে দিয়েছে। ইউরোপে অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে ইউরোপীয় দেশগুলো অভিবাসীদের নিরাপদ প্যাসেজ না দিয়ে ত্রিপোলিতেই রাখতে চাইছে। ২০১৭ সালে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় লিবীয় কোস্টগার্ডকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই প্রশিক্ষণ ছিল সাগর থেকে ইউরোপগামী অভিবাসীদের উদ্ধার করে আটককেন্দ্রে রাখা।