কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, স্থানীয়দের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গোর গোমা শহরের পার্শ্ববর্তী একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি নাইরাগঙ্গো আকস্মিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শনিবার থেকে পর্বতের জ্বালামুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসছে লাভা। আগুনের তীব্রতায় লাল হয়ে উঠেছে উপদ্রুত অঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকাগুলো। জীবন বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারিভাবেও তাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকেও স্থানীয়দের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রবিবার যোগাযোগমন্ত্রী প্যাটট্রিক মুইয়াইয়া জানিয়েছেন, উপদ্রুত এলাকাটি খালি করার ঘোষণা কার্যকর করা হয়েছে।

অগ্ন্যুৎপাতের খবর পেয়ে ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফ্লেক্স তিশিসেকিদি।

উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দা কেরিন এমবালা বলেন, বাতাসে সালফারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অল্প দূরেই পাহাড় থেকে আসা আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।

জাচারি পালুকু নামের এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম এপি-কে বলেন, সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। প্রত্যেকেই ছুটছে। আমরা আসলেই জানি না আমাদের এখন কী করা উচিত।

২০০২ সালে সর্বশেষ এই পর্বতটিতে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। তখন অগ্নুৎপাতে প্রায় আড়াইশ মানুষের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় আরও লক্ষাধিক মানুষ। ১৯৭৭ সালেও সেখানে অগ্নুৎপাতে ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। নাইরাগঙ্গোকে দুনিয়ার অন্যতম সুপ্ত ও ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।