প্রাণঘাতী ইবোলামুক্ত গিনি

করোনা সংক্রমণের মধ্যে সুখবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস মুক্ত হয়েছে। শনিবার গিনির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই ইবোলায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়। সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ধারণা করে বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই দেশটিকে ইবোলা ভাইরাস মুক্ত ঘোষণা করা হলো।

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারিতে ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। এ ভাইরাসের সূত্রপাত হয় গিনি থেকে। ২০১৪ সালের আতঙ্কের নাম ইবোলা ভাইরাস। শুধু গিনিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিয়নসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে মহামারি আকার ধারণ করে। ২০১৯ সালের দিকেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সতর্ক অবস্থানে যায় বিশ্বের অনেক দেশ।

এর মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় চাপা পড়ে প্রাণঘাতী ইবোলা। তবে বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের লাগাম টানতে নিজেদের কাজ চালিয়ে যান। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দিলো, গিনি ইবোলামুক্ত। ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা আলফ্রেড কি-জেরবে জানিয়েছেন, ইবোলার সংক্রমণ থেকে মুক্তির ঘোষণা দিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

গিনির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেমি লামহা বলেন, ‘গিনি ইবোলামুক্ত। প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিচ্ছি।’

ইবোলা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে প্রচণ্ড জ্বর এবং দুর্বল লাগে। মাংসপেশি ও গলায় প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে বমি ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কেটে যাওয়া ত্বক, মুখ, নাক বমি, রক্তের সংস্পর্শে এলে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।