বেসামরিক মানুষ নয়, বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে: ইথিওপিয়া

টাইগ্রে অঞ্চলের একটি ব্যস্ত বাজারে বিমান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী। তবে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে ‘সাদা পোশাকে থাকা’ বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইথিওপিয়ার সংঘাত কবলিত টাইগ্রে অঞ্চলে মঙ্গলবার বিমান হামলায় ৮০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। তোগোগা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর বিমান স্থানীয় বাজারে বোমা হামলা চালায়। এতে অনেকেই আহত হন। টাইগ্রে অঞ্চলে নতুন করে হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।

ইথিওপিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল জেটনেট আদানে বুধবার বলেন, এই অভিযানে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। তার তোগোগা গ্রামে সাদা পোশাকে বিদ্রোহীরা অবস্থান করছিলো।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দাবি করেন বিদ্রোহীরা বাজারের ভিতরে ছিল না। তারা ওই শহরে ১৯৮৮ সালে টাইগ্রের হাওজেন শহরে বোমা হামলার বার্ষিকী উদযাপন করতে জড়ো হয়েছিলো। ইথিওপিয়ার তৎকালীন ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট নেতার চালানো ওই হামলায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ক্ষমতা আসার পর আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে তারই হাত ধরে। এই কারণে ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় প্রশংসিত হলেও নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল টাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি তিনি। উল্টো ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের নামে টাইগ্রেয়ানদের কোণঠাসা করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর প্রভাবেই টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে গত বছরের নভেম্বরে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।