দক্ষিণ আফ্রিকায় লুটপাট, ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করছে সরকার

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে গ্রেফতারের পর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা ও লুটপাট ঠেকাতে ২৫ হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭১ জন নিহত ও দেড় সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, হাজার হাজার দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানো হয়েছে। সরকারের দাবি, খাদ্য সংকট ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

সহিংসতা থেকে নিজেদের সম্পদ রক্ষায় বেসামরিক নাগরিকরা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন ও নজরদারি গোষ্ঠী গড়ে তুলছেন।

বুধবার দুই শতাধিক লুটপাট ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, কাজুলু-নাটাল প্রদেশে ২৫ হাজার সেনা মোতায়েনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই প্রদেশে ডারবান, গৌটেং ও জোহানেসবার্গ অবস্থিত।

বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আরও সেনা মোতায়েনের চাপে রয়েছে সরকার।

ডারবানসহ বিভিন্ন শহরে শপিং মল ও গুদামে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গৌটেং প্রদেশে মেডিক্যাল সেন্টার পরিচালনাকারী ড. ডুলসি রাকুমাকোয় বলেন, আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা শুরু করেছি। কিন্তু মেরামতের কথা চিন্তা করতে পারছি না। কারণ, কবে এই সহিংসতা শেষ হবে জানি না। এখন ভেতরে যাওয়া ও মেরামত করা নিরাপদ না।

গত সপ্তাহে জ্যাকব জুমা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর গ্রেফতার করার আদালত অবমাননায় ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এটি পরে দাঙ্গা ও সহিংসতায় পরিণত হয়। সবখানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং নগর ও শহরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর রিজার্ভিস্টদের তলব করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা দেশটির বিভিন্ন অংশে মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের সংকট দেখা দিতে পারে সতর্ক করার পর সেনাবাহিনীর এই সদস্যদের ডাকা হলো।