দ. আফ্রিকায় সহিংস বিক্ষোভ 'গণতন্ত্রের ওপর আঘাত': প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় অব্যাহত জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনকে পূর্ব-পরিকল্পিত উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা। সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে তার সমর্থকদের অগ্নিসংযোগ, ভাঙ্চুর ও লুটপাটের ঘটনাকে 'গণতন্ত্রের ওপর আঘাত' বলে অবিহিত করেছেন তিনি।

গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ধ্বংসযজ্ঞ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমার সমর্থকরা। তার মুক্তির দাবিতে সরকারি স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তায় অবস্থান করছে তারা। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের সংঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে। চলমান সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ।

পরিস্থিতি ঠেকাতে সুপার মার্কেটেগুলোতে পণ্য সরবরাহে সহায়তা দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের মেয়রের তথ্যমতে, সেখানকার দোকানগুলোতে লুটপাটের কারণে আনুমানিক ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য চুরি হয়েছে।

সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়া বন্দরনগর ডারবানের এথিকউইনি পৌর এলাকায় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা বলেন, তিনি কোনোভাবেই এ ধরনের ‘বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য’ সহ্য করবেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের চেষ্টার পরও গত সপ্তাহে চলা সংঘাতে দেশটিতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সহিংসতায় বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে ধস নেমেছে, যা আফ্রিকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে’।

দাঙ্গা সৃষ্টি করে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্র অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। নৈরাজ্যকারীদের চিহ্নিত করা গেছে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট রামফোসা। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।

দুর্নীতি মামলার তদন্তের সময় আদালত অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ড পাওয়ার পর সম্প্রতি পুলিশের কাছে ধরা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। এরপরই বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থকেরা।