বুরকিনা ফাসোতে অপহৃত অস্ট্রেলীয় দম্পতির মুক্তির জন্য ফেসবুকে প্রচারণা

বুরকিনা ফাসোতে অপহৃত অস্ট্রেলীয় দম্পতির মুক্তির জন্য দেশটির এক শহরের মানুষেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অপহৃত ড. কেন এলিয়ট ও জেসেলিন এলিয়ট ১৯৭০ সাল থেকে মালি সীমান্তে জিবো শহরে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছেন। বিবিসির এক খবরে এ কথা জানা গেছে।

শুক্রবার রাতে (১৬ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানীতে হোটেলে হামলার দিন এ দম্পতিকে অপহরণ করা হয়েছে। হামলায় ১৮টি দেশের অন্তত ২৯ জন নাগরিক নিহত হন। তবে এটা স্পষ্ট নয় হামলাকারীরাই এ দম্পতিকে অপহরণ করেছে কিনা। আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী একিউআইএম এ হামলার পেছনে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মালির সশস্ত্র সংগঠন আনসার দিনে’র মুখপাত্র হামাদু আর খালিনি অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সাহারা গ্রুপ এই দম্পতিকে আটক রেখেছে।

এ সশস্ত্র গ্রুপটি মালির উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে।

অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপহরণের কোনও কারণ এবং দম্পতির অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি।

৮০ বছর বয়স্ক এলিয়ট  দম্পতি ১২০ শয্যার একটি হাসপাতাল পরিচালনা করেন। যেখানে একমাত্র সার্জন হচ্ছেন ড. এলিয়ট। এই দম্পতির মুক্তির জন্য জবো শহরের বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জিবো সাপোর্টস ড. কেন এলিয়ট- শিরোনামে একটি ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে।  আর তাতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে শহর জুড়ে। সেখানে বলা হয়েছে, অনেক রোগী তার জন্য অপেক্ষায় আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মৌসা ডিকো লিখেছেন, আমাদের সবার জন্য এলিয়ট। শিশুর যেমন মা প্রয়োজন, আমাদেরও তেমনি তাকে প্রয়োজন।’

আরেক বাসিন্দা ফ্রাসোয়া রামদি লিখেছেন, ‘তিনি (এলিয়ট)  মানবতার সবচেয়ে ভালো প্রতিনিধি।’

রুটস হাসানি নামে অপর এক বাসিন্দা লিখেছেন, যে ঈশ্বর এলিয়টকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন এবং ফেরত আনবেন, সেই ঈশ্বরের নাম যেনও এ হীন কাজে (অপহরণ) ব্যবহার করা না হয়।’ সূত্র: বিবিসি।

/এএ/