সহকর্মীকে গুলি, পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিচ্ছেন না নার্সরা

পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন এসওয়াতিনির নার্সরা। তাদের অভিযোগ গত বুধবার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের সময় সহকর্মী নার্সদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ।

আফ্রিকার সর্বশেষ চরম রাজতন্ত্র এসওয়াতিনি। পুরনো নাম সোয়াজিল্যান্ড। গত জুন থেকে সেই দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভের কারণে এই সপ্তাহে ফেসবুকের মতো বেশ কিছু ইন্টারনেট সার্ভিস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সরকার দাবি করে আসছে নিরাপত্তা বাহিনী তাজা গুলি ব্যবহার করেনি। এবার তারা সব ধরণের বিক্ষোভই নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।

তবে শুক্রবার জানা যাচ্ছে, তিনটি হাসপাতালের নার্সরা বিক্ষোভ করছেন। দ্য সোয়াজি নিউজ টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নাহলানগো হেলথ সেন্টারের নার্সরা বিক্ষোভ করছেন।

এই সপ্তাহের আগের দিকে স্বাস্থ্যকর্মীসহ সরকারি সেক্টরের কর্মীরা জীবনমানের উন্নয়নের দাবির আবেদন পত্র পার্লামেন্টে জমা দিতে যান। সোয়াজিল্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক নার্সেস ইউনিয়ন (এসডিএনইউ) বলেছে, সেখানে এসব কর্মীরা ‘অভূতপূর্ব শক্তির প্রদর্শনি দেখেছে।’ ইউনিয়নের দাবি সেদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালালে ৩০ নার্স আহত এবং এক তরুণ পথচারী নিহত হয়।

নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘রক্তখেকোদের বংশধর’ উল্লেখ করে এসডিএনইউ সব নার্সকে ‘গুলিবিদ্ধ নার্সদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পুলিশ সদস্যদের সেবা না দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে।

এই পদক্ষেপ সবাইকে সেবা দেওয়ার মূলনীতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে স্বীকার করে ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ওয়েলকাম মুদুলি বলেছেন, তাদের সদস্যরা এখন পুলিশ ভয় পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি হাসপাতালের অভ্যন্তরে পুলিশ স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে... আমরা তাদের ভয় পাচ্ছি।’

ওয়েলকাম মুদুলির এখন দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চয়তা দিক যে- নার্সরা নিরাপদ থাকবে। তারপরই চিকিৎসা সেবা দেওয়া বয়কটের অবসান ঘটবে বলে জানান তিনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি আর গত বুধবার পুলিশ সহিংস হয়ে উঠতে যাওয়া একটি মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। এসওয়াতিনির উপপ্রধানমন্ত্রী থেম্বা মাসুকু বলেন, পুলিশ রাখাই হয়েছে সম্পদ রক্ষায়। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে- এমন কথার মধ্যে কোনও সত্যতা নেই।’