ইথিওপিয়ার জনগণকে অস্ত্র ধরতে বললেন শান্তিতে নোবেলজয়ী আবি

বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এক ফেসবুক পোস্টে এই আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী এই প্রধানমন্ত্রী। উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে প্রদেশের বিদ্রোহীরা পার্শ্ববর্তী আমফারায় আরও শহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এই তাগিদ দেন তিনি।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ক্ষমতা আসার পর আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে তারই হাত ধরে। এরই জেরে ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান আবি। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আবি আহমেদ প্রশংসিত হলেও নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল তাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি এর প্রভাবেই টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।

গত এক বছর ধরে টিপিএলএফ এর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে। টাইগ্রে এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। টিপিএলএফ বলছে তারা উত্তরাঞ্চলের অবরোধ ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে। নতুন নতুন কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। এক বছর ধরে চলা সংঘাতে তৈরি হওয়া মানবিক সংকট অবসানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার এক ফেসবুক পোস্টে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তিনি জনগণকে সংগঠিত হতে এবং অস্ত্র ও ক্ষমতা নিয়ে ‘সন্ত্রাসী’ টিপিএলএফ বাহিনীর অগ্রযাত্রা ঠেকানোর আহ্বান জানান।

টিপিএলএফ বাহিনী আমফারা অঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোমবোলচা এবং দেসি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর শোনার পর এই মন্তব্য করেন আবি আহমেদ।