বুরকিনা ফাসোয় নিরাপত্তা চৌকিতে হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩

আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় সামরিক চৌকিতে চালানো হামলায় সামরিক পুলিশসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় গত রবিবার তিন দেশের সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়। বুধবার সরকারি হিসেবে প্রাণহানির সংখ্যা ৫৩ জন দেখানো হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।

গত রবিবারের হামলার পর বুরকিনা ফাসোয় ক্ষোভ বাড়ছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি গত চার বছর ধরে ইসলামপন্থী অস্থিরতা চললেও তা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই অস্থিরতায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

বুধবার এক সরকারি মুখপাত্র জানান, উত্তরাঞ্চলীয় সুয়োম অঞ্চলের একটি স্বর্ণ খনির কাছে চালানো হামলায় ৪৯ সামরিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং চার বেসামরিক নিহত হয়েছে।

হামলার জেরে মঙ্গলবার বুরকিনা ফাসোর রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে লাখ লাখ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা আল কায়েদা এবং আইএস সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরের পদত্যাগ দাবি করেন। এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো নিয়মিতভাবে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে থাকে। বুধবার এক প্রকাশ্য ভাষণে প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরে বলেছেন, তিনি বুঝতে পারছেন হামলা নিয়ে কেন কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ।

হামলায় আক্রান্ত হয়েছে গেন্ডারমেরি নিরাপত্তা চৌকি। সেখানে অবস্থানরত সেনা সদস্যদের খাবার ফুরিয়ে যায়। গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা আশেপাশের প্রাণী হত্যা করে খেতে বাধ্য হয়। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চৌকিটির কমান্ডারের পাঠানো একটি মেমো হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট কাবোরে বলেন, আমরা আর কোনও অবস্থাতেই সেনাবাহিনীতে খাবার ইস্যু নিয়ে কোনও কথা শুনতে চাই না। ওই ঘটনা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দুই সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।