‘ফ্লাইট নিষিদ্ধে নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব নয়’

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ফ্লাইট বন্ধে যে বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে তাতে ভাইরাসের বিস্তার রোধের সম্ভাবনা কম। এমনটাই মনে করছেন আফ্রিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার পরিচালক চিকিৎসক জন নেকেনগাসং।

দ. আফ্রিকার এই চিকিৎসক জন নেকেনগাসংয়ের মতে, ‘আগে যেই ভ্যারিয়েন্ট এসেছিল তার সংক্রমণ রোধে ভ্রমণসহ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েও বিস্তার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় কাজে আসেনি'।

পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, ‘সবাইকে বার বার হাত ধোয়া, ভলোভাবে মাস্ক পরিধান করা এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। আমি মনে করি এই বিষয়গুলো ভালোভাবে প্রচার করা উচিত’।

যুক্তরাজ্যের গবেষকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, এই ধরন অন্যান্য কোভিডের ভ্যারিয়েন্টে চেয়ে অধিক সংক্রামক হতে পারে। ফলে বর্তমানে যেই টিকা রয়েছে এর বিরুদ্ধে খুব বেশি কার্যকর না হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।

পরিস্থিতি জটিল রূপ নিতে পারে এই ভেবে যুক্তরাজ্য আগাম সতর্কতা হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানাসহ আফ্রিকার অন্তত ছয়টি দেশে যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছে। 

করোনার নতুন এই ধরনের এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও নাম না দেওয়া হলেও আপাতত বি.১.১.৫২৯ বলা হচ্ছে।