প্রথম ৩ ঢেউয়ের তুলনায় ওমিক্রনে উপসর্গ মৃদু: দ. আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ

দক্ষিণ আফ্রিকায় বৃহত্তম বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী নেটকেয়ার লিমিটেডের পর্যালোচনায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে।

ওমিক্রনের এপিসেন্টার বলে পরিচিত গাউটেং প্রদেশে নেটকেয়ার হাসপাতালের রোগীদের উপসর্গ প্রথম তিনটি ঢেউয়ের তুলনায় অনেক মৃদু। বুধবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন হাসপাতালটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ফ্রেইডল্যান্ড।

অপর দুটি স্থানীয় হাসপাতালের চিত্রের সঙ্গে এই পর্যালোচনার সামঞ্জস্য রয়েছে। এই দুটি হাসপাতালের বেশির ভাগ করোনা রোগীদের অক্সিজেন বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে না। বিজ্ঞানীরা এখনও ওমিক্রনের বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভ্যারিয়েন্টটির প্রকৃত ঝুঁকি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।

ফ্রেইডল্যান্ড জানান, প্রথম তিন ঢেউয়ের সময় কমিউনিটি সংক্রমনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা। এখন হয়ত তা ভিন্ন।

তিনি জানান, নেটকেয়ার হাসপাতালের প্রায় ৯০ শতাংশ কোভিড রোগীর কোনও অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজন পড়ছে না। ব্যতিক্রম বিরল। ৩৩৭ জনের মধ্যে ৮ জন ভ্যান্টিলেটারে আছেন। এদের মধ্যে আবার দুজন মূলত ট্রমায় আছেন।

১৫ নভেম্বর থেকে নেটকেয়ারের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া ৮০০ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকা দেননি। এই সময়ে চারজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে যাদের বড় ধরনের কো-মরবিডিটিজ ছিল এবং বয়স ৫৮-৯১ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে তিনজন টিকা নেননি।

বুধবার দেশটির আরেকটি বৃহত্তম বেসরকারি হাসপাতাল গোষ্ঠী লাইফ হেলথকেয়ার গ্রুপ হোল্ডিংস লিমিটেড জানিয়েছে, তাদের হাসপাতালে ৩২১ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ২০ শতাংশ ইনটেনসিভ কেয়ারে। মোট ভর্তি রোগীর ৩০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কম।

ফ্রেইডল্যান্ড বলেন, আমরা স্বীকার করছি এখনও প্রাথমিক পর্যায়। তবে এই প্রবণতা চলতে থাকলেও খুব ব্যতিক্রম ছাড়া আমাদের ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না। চতুর্থ ঢেউ হয়ত প্রাথমিক স্তরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া যাবে। সূত্র: ব্লুমবার্গ