ওমিক্রন ঢেউ নিয়ে সুখবর জানালো দক্ষিণ আফ্রিকা

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে সুখবর জানালো দক্ষিণ আফ্রিকা। ওমিক্রনে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করার কথা জানিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রন উচ্চ সংক্রমণশীল হলেও সংক্রমণের ঢেউ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা মধ্যরাতের কারফিউ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের জেরে দেশটির চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা কোভিড-১৯ সতর্ক ব্যবস্থার নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। মহামারির গতিপথ বিবেচনার ভিত্তিতে সতর্কতা হালনাগাদ করা হয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, জনগণের চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে ঘরোয়াভাবে ১ হাজারের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না এবং বাইরের ক্ষেত্রে ২ হাজার মানুষ পর্যন্ত সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।  

মন্ত্রিসভা বিবৃতিতে বলেছে, ওমিক্রন উচ্চ সংক্রমণশীল হলেও আগের ঢেউয়ের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল কম। এর অর্থ হলো দেশের স্বাস্থ্য সেবা রোগীদের ভর্তি করার সামর্থ রাখে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সব সূচক ইঙ্গিত দিচ্ছে যে জাতীয় পর্যায়ে আমরা হয়ত চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করে ফেলেছি।

দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, ২৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৯.৭ শতাংশ কমেছে। নয়টির মধ্যে আটটি প্রদেশে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে।

মহামারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৫ লাখ আক্রান্ত ও ৯১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশে করোনার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছিল দেশটিতে। গত মাসে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দেশটির গাউটেং প্রদেশে প্রথম শনাক্ত হয়।