রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে যেতে লাইন ধরছেন ইথিওপিয়ার নাগরিকেরা

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় রুশ দূতাবাসের সামনে প্রতিদিন সকালে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব অনুসরণ করে তরুণ পুরুষ ও বয়স্করা ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে যেতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। অনেকেই সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের সামরিক বাহিনীতে কাজের রেকর্ড।

গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদক দেখতে পান দূতাবাসের বাইরে কয়েক শ’ পুরুষ ইথিওপিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে নাম নিবন্ধন করছেন। রক্ষীরা তাদের নাম লিখে নিচ্ছেন এবং সামরিক বাহিনীতে কোনও কাজ করেছেন কিনা তা জানতে চাইছেন।

তবে ইথিওপিয়ার নাগরিকদের ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। এছাড়া কখনও পাঠানো হবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।

দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসা এক ব্যক্তি অনুবাদকের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে বলেন, এই মুহূর্তে রাশিয়ার পর্যাপ্ত সেনা রয়েছে কিন্তু প্রয়োজন পড়লে তাদের ডাকা হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইথিওপিয়ার রুশ দূতাবাসের এক দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা যোদ্ধা নিয়োগ দিচ্ছে না। আর দূতাবাসের বাইরে যেসব ইথিওপিয়ানদের দেখা যাচ্ছে তারা শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন’ প্রকাশ করছেন।

ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুশ দূতাবাসের বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে। ইথিওপিয়া যুদ্ধরত সব পক্ষকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দানে বিরত থাকে আদ্দিস আবাবা।

ইথিওপিয়ার বহু নাগরিক রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সোভিয়েত আমল থেকেই হর্ন অফ আফ্রিকার দেশটির সঙ্গে মস্কোর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স