সুদান পরিস্থিতিকে নাজুক বললো যুক্তরাষ্ট্র, উদ্বিগ্ন রাশিয়া

আফ্রিকার সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ করেই রাজধানী খার্তুমে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে। রাজপথে থমথমে পরিস্থিতি। খার্তুমের পরিস্থিতিকে ‘চরম নাজুক’ অ্যাখা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে রাশিয়া।

ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরেই উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুই বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে যে উত্তেজনা চলছিল, তা গত বৃহস্পতিবার থেকে বিষয়টি আবারও সামনে আসতে থাকে। বিভিন্ন সূত্রে বিবিসি ও আল জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেই এ সংঘাত শুরু হয়েছে।

শনিবার হঠাৎ করেই রাজধানী খার্তুমের বিভিন্ন জায়গায় কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে আকাশে উড়তে থাকে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে অনেক জায়গায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এবং ভারী গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। সুদানের সেনা সদর দফতর এবং খার্তুমের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশেপাশে গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।

খার্তুমের পরিস্থিতিকে নাজুক অ্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বর্তমানে ভিয়েতনাম সফরে রয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন। খার্তুমে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন গডফ্রে একটি টুইট বার্তায় বলেন, সামরিক অংশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি অত্যন্ত বিপজ্জনক। সংঘর্ষ বন্ধে উভয় পক্ষের শীর্ষ নেতাদের জরুরিভাবে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইভাবে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে রুশ দূতাবাস। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, দক্ষিণ খার্তুমে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) একটি ঘাঁটিতে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ এবং বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘শনিবার সেনাবাহিনীর একটি বড় দল খার্তুমের সোবায় ক্যাম্পে প্রবেশ করে ও সেখানে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে অবরোধ করে। এ ঘটনায় বিস্মিত র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স।’

এর মধ্যে খার্তুম বিমানবন্দর দখলের দাবি করেছে আরএসএফের সদস্যরা। সুদানের আধাসামরিক বাহিনীটির দাবি, তারা খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।