নাইজার থেকে ইউরোপীয়দের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ

নাইজার থেকে ইউরোপীয় নাগরিকদেরকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) নাইজার থেকে ফরাসি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউরোপীয়দের সরিয়ে নেওয়ার কাজে নেতৃত্ব দেবে ফ্রান্স। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রবিবার আমাদের দূতাবাসের হামলা হয়েছে। আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই ফ্রান্স তার নাগরিক ও ইউরোপীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই নাগরিকদেরকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে নাইজারে এক হাজার ২০০ ফরাসি নাগরিক অবস্থান করছিলেন।

মঙ্গলবার ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নাইজার থেকে নাগরিকদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে।

অভ্যুত্থানের সমর্থকরা ফরাসি পতাকা পুড়িয়েছে। নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে ফরাসি দূতাবাসে হামলা করেছে। এই ঘটনায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্সের স্বার্থের ওপর হামলা হলে দ্রুত ও আপসহীন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) নাইজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজুমকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তা না করলে সম্ভাব্য শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে।

এদিকে বুরকিনা ফাসো ও মালির সামরিক সরকার বলেছে, নাইজারে কোনও বাইরের কোনও সামরিক হস্তক্ষেপ হলে তা হবে যুদ্ধের শামিল।

১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নাইজারের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। বুধবারের আগে, চারটি অভ্যুত্থান ও অসংখ্য অভ্যুত্থান-চেষ্টা হয়েছে।