জিম্বাবুয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

এমনানগাগওয়া পুনর্নির্বাচিত, অসন্তোষ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন এমারসন এমনানগাগওয়া। তবে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী দলগুলো।

শনিবার জিম্বাবুয়ে ইলেক্টোরাল কমিশন (জেডইসি) আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করে। তাতে দেখা গেছে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নেলসন চামিসার সিটিজেন কোয়ালিশন ফর চেঞ্জের (সিসিসি) পেয়েছে ৪৪ শতাংশ ভোট। বিপরীতে এমনানগাগওয়ার দল ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছে। ৮০ বছর বয়সী এমারসন ২৩ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। ৪৫ বছর বয়সী নেলসন চামিসার পেয়েছেন ১৯ লাখের বেশি ভোট।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারপারসন জাস্টিস চিগুম্বা বলেছেন, ‘জানু-পিএফ পার্টির এমারসন এমনানগাগওয়া ডাম্বুডজোকে জিম্বাবুয়ের বৈধভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।’

এমারসন এমনানগাগওয়া রবার্ট মুগাবে প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। স্ত্রীকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতে তাকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। এর জের ধরে ৩৭ বছরের তৎকালীন শাসক রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।

ফলাফল আংশিক ঘোষণার শুরু থেকেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। সরকারি দলীয় লোকজন বিরোধী ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলছে দাবি নির্বাচন কমিশন।

সিটিজেন কোয়ালিশন ফর চেঞ্জের (সিসিসি) একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা এই ফলাফল মেনে নিতে পারছি না। আমাদের দল শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে।’

বিদেশি পর্যবেক্ষকরা শুক্রবার জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা