পশ্চিম আফ্রিকায় তিন জান্তার সাহেল নিরাপত্তা জোট

পশ্চিম আফ্রিকার তিন জান্তা সরকার সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বিদেশি আগ্রাসন মোকাবিলা করার জন্য সাহেল নিরাপত্তা জোট গড়ে তুলেছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে এক চুক্তির মাধ্যমে এই জোট গঠন করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

অভ্যুত্থানের কারণে প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর। সর্বশেষ নাইজারে অভ্যুত্থানের কারণে বিভিন্ন আঞ্চলিক জোট ও পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। এই জোটগুলো জান্তা সরকারকে সাংবিধানিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল।

বহির্বিশ্ব ও আঞ্চলিক জোটের হুমকির জবাবে মালি ও বুরকিনা ফাসো বলেছে, নাইজারের ওপর কোনও ধরনের আক্রমণ হলে আমরা বসে থাকব না। আমরা নাইজারের পাশে আছি। আমরা দেশটিকে সহযোগিতা করব।

সাহেল চুক্তির সনদ অনুযায়ী, দেশ তিনটির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর আক্রমণ করা হলে তা আগ্রাসন বলে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে একে অপরকে সামরিক সহযোগিতা করবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সশস্ত্র বিদ্রোহ ঠেকাতে বা মোকাবিলা করতে দেশ তিনটি একে অপরকে সহযোগিতা করবে।

মালির জান্তা প্রধান আসিমি গোইতা তার এক্স-এ (টুইটার) বলেন, আমি আজ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে লিপ্টাকো-গৌরমা চার্টারে স্বাক্ষর করেছি। এর মাধ্যমে সাহেল নিরাপত্তা জোট গঠন করা হয়েছে। এটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ও সহায়তা কাঠামো প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।

এই তিনটি দেশ ফ্রান্স-সমর্থিত জি-৫ সাহেল জোটের সদস্য ছিল। সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠীকে মোকাবিলা করার জন্য ২০১৭ এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই জোটে চাদ ও মৌরিতানিয়াও ছিল।