কঙ্গো থেকে শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারে জাতিসংঘের প্রস্তুতি

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো বা ডিআর কঙ্গোর একটি দাবি মেনে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশটি থেকে ধীরে ধীরে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পূর্ব কঙ্গোতে চলমান সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। ফরাসি রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

সংঘর্ষে বিধ্বস্ত এবং ব্যাপক ও চরম দরিদ্র এ দেশটিতে বুধবার উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন দেশটিতে একইসঙ্গে মনুস্কো নামে পরিচিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বার্ষিক ম্যান্ডেটের মেয়াদ শেষ হবে।

একটি অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরেই কঙ্গো সরকার ২০২৪ সালের শেষের পরিবর্তে ২০২৩ সালের শেষদিকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ‘দ্রুত’ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং মিলিশিয়াদের হাত থেকে বেসামরিকদের রক্ষা করতে জাতিসংঘের বাহিনী অকার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করে দেশটি। গত তিন দশক ধরে পূর্ব কঙ্গোকে সংঘাতে জর্জরিত করে চলেছে তারা।

এই অভিযোগ আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলো, বিশেষ করে মালির অভিযোগের অনুরূপ। দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘের মিনুসমা মিশনকে তল্পিতল্পা মালি থেকে প্রস্থান নিতে বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কাউন্সিলের বেশ কয়েকটি সদস্য জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মনুস্কোকে সরিয়ে কঙ্গো বাহিনী দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

আয়োজক দেশগুলোর অনুমোদন ছাড়া সেখানে জাতিসংঘের মিশনগুলো কাজ করতে পারে না। এতদসত্ত্বেও কঙ্গো থেকে নিরাপত্তা পরিষদকে চলে যেতে বারবার চাপ দিচ্ছে সরকার।

এএফপি’র পাওয়া একটি খসড়া অনুসারে, কঙ্গোর দাবি মেনে মিশনটি সদলবলে চলে গেলেও দেশটিতে চলমান ‘সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ’ এবং ‘রুয়ান্ডা ও ডিআরসি’র মধ্যে উত্তেজনা’ বিষয়ে নজর রাখবে কাউন্সিলটি।

প্রত্যাশিত খসড়া প্রস্তাবটি মঙ্গলবার গৃহীত হলে কাউন্সিলটি নভেম্বরে কিনশাসা এবং মনস্কোর মধ্যে হওয়া একটি প্রত্যাহার পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘ধীরে ধীরে, দায়িত্বশীল এবং টেকসই প্রত্যাহার শুরু করার’ সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রথম ধাপে দক্ষিণ কিভু প্রদেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার  অন্তর্ভুক্ত, যা ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ শেষ হবে।