যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় নতুন নাম: আইএসআইএস-জিএস

বৃহত্তর সাহার অঞ্চলে সক্রিয় থাকা আইএসআইএস-জিএসকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। পাশাপাশি ওই জঙ্গি সংগঠনটির নেতা আদনান আবু ওয়ালিদ আল-সাহরাবিকেও ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই সংগঠন বা ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কাউকে কোনও রকম সহায়তা দেওয়া হলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ওই তালিকাভুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি দায়রার মধ্যে থাকা আইএসআইএস-জিএস ও আদনান আবু ওয়ালিদ আল-সাহরাবির সকল সম্পদ বাজেয়াপ্তযোগ্য হলো।

আল কায়েদার অনুসারী আল-মৌরাবিতৌন ভেঙে আইএসআইএস-জিএস গঠন করা হয়েছিল। আল-মৌরাবিতৌনের নামও যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ (এফটিও) ও  ‘স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (এসডিজিটি) তালিকায় ছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে আল-সাহরাবি প্রথম আইএসআইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। আনুগত্য প্রকাশ করে তাদের পাঠানো বার্তা পাওয়ার বিষয়টি ইসলামিক স্টেট নিশ্চিত করেছিল ২০১৬ সালে। মালিতে ঘাঁটি থাকা আইএসআইএস-জিএস মূলত মালি-নাইজার সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে। আল-সাহরাবির নেতৃত্বে সংগঠনটি অনেকগুলো জঙ্গি হামলা চালিয়েছে এবং সেগুলোর দায়ও স্বীকার করেছে। ২০১৭ সালে নাইজারের টোঙ্গো টোঙ্গো এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র-নাইজার যৌথ টহল দল তাদের হামলার মুখে পড়ে। এতে প্রাণ হারায় নাইজারের ৫ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৪ সেনাসদস্য।

‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশিওনালিটি’ আইনের ২১৯ ধারা এবং ‘এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৩২২৪’-এর ধারা ১ (বি) মোতাবেক এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নাগরিক ওই সংগঠন বা সংগঠনের নেতাকে যদি জেনেশুনে সহায়তা করে বা সহায়তা করার চেষ্টা করে বা সহায়তা করার উদ্যোগ নেয় তাহলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইএসআইএস-জিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করাটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বিত একটি প্রচেষ্টা এবং তা জঙ্গি সংগঠনটিকে পরাজিত করার জন্য তৈরি বিস্তারিত পরিকল্পনার অংশ। স্টেট ডিপার্টমেন্ট মনে করে, এমন প্রচেষ্টা জঙ্গি সংগঠনগুলোর নিরাপদ আশ্রয় পাওয়া, নতুন জঙ্গি নিয়োগ করা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাতে পারার মতো বিষয়গুলোর পাশাপাশি আর্থিক উৎসগুলো বন্ধ করে দিতে ভূমিকা রাখছে। এতে ইরাক ও সিরিয়ার স্থিতিশীল হয়ে ওঠা এলাকাগুলোতে বাস্তুহারা মানুষেরা আবার ফিরে যেতে পারছে।