বিক্ষোভের মুখে জ্বালানিতে ভর্তুকি বহাল রাখলো ইকুয়েডর

বিক্ষোভের মুখে রাজধানীর অচলাবস্থা কাটাতে আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে ইকুয়েডর সরকার একটি সমঝোতায় এসেছে। সমঝোতা অনুসারে, জ্বালানিতে ভর্তুকি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। জাতিসংঘ ও রোমান ক্যাথলিক চার্চের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসার পর এই সমঝোতা হলো।

_109221505_057286082

দুই সপ্তাহের টানা বিক্ষোভের পর এই সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইকুয়েডরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই সমঝোতা বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো সেনাবাহিনী দ্বারা কারফিউ জারি করেন। রবিবারের বৈঠকের পর দেওয়া ঘোষণা রাজধানীতে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস প্রকাশ করেছে।

এক যৌথ বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, জ্বালানিতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

উভয় পক্ষ এখন একটি নতুন আইন প্রণয়নের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাবে যাতে করে ভর্তুকির ফায়দা নিয়ে প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার করতে না পারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার শর্ত হিসেবে জ্বালানিতে ভর্তুকি বাতিলের ঘোষণা দেয় ইকুয়েডর। এরপরই সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়।

প্রেসিডেন্ট মোরেনো জানান, জ্বালানি ভর্তুকিতে দেশটির ব্যয় হয় ১৩০ কোটি ডলার। ১৯৭০ দশকে জারি করা ভর্তুকি এখন আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পায় এবং রাজপথে নেমে আসে হাজারো মানুষ। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ফলে দুই মাসের জন্য জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন মোরেনো। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধিরা অভ্যুত্থান চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিক্ষোভ তীব্রতর হতে থাকলে মোরেনো সরকারি কার্যক্রম রাজধানী কুইটো থেকে সরিয়ে বন্দর নগরী গুয়াইয়াকুইলে নিয়ে যান। কিন্তু এরপরও বিক্ষোভ না থামার পর শনিবার সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ জারি করেন তিনি।