করোনার ব্রাজিলিয়ান ধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর ফাইজারের ভ্যাকসিন

ব্রাজিলে পি-ওয়ান নামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন স্ট্রেইনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। সোমবার (৮ মার্চ) নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাস রোধে ফাইজারের টিকা কার্যকর প্রমাণিত হয়।

এবার ফাইজার ও বায়োএনকেটের বিজ্ঞানী এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকেল ব্রাঞ্চ বলছে, ব্রাজিলের নতুন ধরনের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের টিকার সক্ষমতা পুরনো ভাইরাস প্রতিরোধের সক্ষমতার সমানই।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত টিকা নেয়া ব্যক্তিদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে জানা গেছে, এই করোনা প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা সক্ষম।

এদিকে এর আগে নতুন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। অক্সফোর্ডের গবেষণায় দেখা যায়, ধরনটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনার দরকার নেই।

অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম। সেখানকার ধরনটির সঙ্গে ব্রাজিলের পি১ ধরনের মিল রয়েছে। কার্যকারিতা কম থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেছে।