ভারতের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ করোনা যুক্তরাষ্ট্রে

ভারতের পাওয়া নতুন ধরনের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক রোগীর দেহে শনাক্ত হয়েছে। স্যান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়াতে ওই রোগী বাস করেন। সোমবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য হিল-এর বরাতে এখবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

খবরে বলা হয়েছে, স্ট্যানফোর্ড হেলথ কেয়ার ক্লিনিক্যাল ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে ওই রোগীর দেহে এই নতুন ধরনের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। নতুন এই ধরনকে বলা হচ্ছে ডাবল মিউট্যান্ট। কারণ এই ভাইরাস দু’বার পরিবর্তিত হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার চিন হং বলেন, ভারতীয় এই মিউটেশন দু’বার হচ্ছে। এমন বৈশিষ্ট্য প্রথম দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাবল মিউটেশন মানে হলো, কোনও একটা ভাইরাসে একই সঙ্গে দুইটি মিউটেশন বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে দুইটি মিউটেশন থাকার মানে হলো, সেটি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং ভাইরাসকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। ফলে এটি আরও বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে।

গবেষকরা এই ধরনে এক জন আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, আরও সাত জন একই ধরনে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে এটি নিশ্চিত হওয়ার আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডাবল মিউট্যান্ট ধরন শনাক্তের কথা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ইতোমধ্যে তারা অন্য পাঁচটি মিউটেশনের কথা নিশ্চিত করেছে।

ভারতে দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে নতুন এই ধরনকে দায়ী করা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি থাকলেও ৪ এপ্রিল তা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে, নতুন ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট ছাড়াও দেশটিতে ১০ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের আরও ৭৭১টি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩৬টি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরন, ৩৪টি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরন আর একটি ব্রাজিলের ভাইরাসের ধরন পাওয়া গেছে।