ফাইজার ভ্যাকসিনের নতুন সংস্করণের পরিবহন ও সংরক্ষণ হবে সহজ

মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার তাদের করোনা ভ্যাকসিনের নতুন একটি সংস্করণ তৈরির পরিকল্পনা করছে যা পরিবহন ও সংরক্ষণ করা সহজ হবে। কোম্পানিটির সিইও আলবার্ট বৌরলা জানান, নতুন এই সংস্করণটি সাধারণ ফ্রিজারে রাখা যাবে ও মিশ্রিত থাকবে, যা একেবারে ব্যবহার উপযোগী হবে। শুক্রবার তিনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এসব কথা জানান।

জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে ফাইজার। মহামারি নিয়ন্ত্রণে ইউরোপীয় উদ্যোগের প্রধান হাতিয়ার হতে যাচ্ছে এটি। কিন্তু এটির পরিবহন ও সংরক্ষণ অনেক জটিল ও ব্যয়বহুল।

ফাইজার ভ্যাকসিনের বর্তমান সংস্করণ মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। এর ফলে বিশেষ যন্ত্রাংশ সম্বলিত ভ্যাকসিন কেন্দ্র ছাড়া এগুলো প্রয়োগ করা যাবে না।

কিন্তু সিইও আলবার্ট বৌরলা জানান, পাইপলাইনে একটি নতুন সংস্করণ রয়েছে। তিনি আশাবাদী করোনার নতুন ধরনগুলোর বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে এটি।

তার মতে, ব্রিটিশ ভ্যারিয়ান্টের তথ্য আমরা পেয়েছি। এটি বলতে আমার খারাপ লাগছে। তবে মানুষ এভাবেই ধরনটিকে ডাকছে। ইসরায়েলে এর প্রভাব বেশি। সেখানে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

বৌরলা আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে সেখানকার ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি ১০০ শতাংশ কার্যকর। ব্রাজিলেও এটি ভালো মাত্রায় কার্যকর।

ফাইজার এখনও তথাকথিত ভারতীয় ভ্যারিয়ান্টের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। তবে বৌরলা জানান, এটি কার্যকর হতে পারে। তাদের এমআরএনএ প্রযুক্তি নতুন ধরনের মোকাবিলায় নিজেদের সক্ষম করে তুলতে পারে।

বৌরলা বলেন, যে বিষয়টি আমাকে স্বস্তি দিচ্ছে তাহলো আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছি যাতে উদ্বেগে পরিণত হওয়া ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের মধ্যেই কার্যকর ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারব।