বিতর্কিত নেতা ছিলেন হাইতির প্রেসিডেন্ট

নিজ বাড়িতে খুন হওয়া হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি ছিলেন বিতর্কিত নেতা। এই বছর তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন কিনা তা নিয়ে বিরোধ ছিলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস অবশ্য তাকে সমর্থন জানিয়ে আসছিলো। দায়িত্বের পুরো মেয়াদ জুড়েই স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচন আয়োজনেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

ক্যারিবীয় দেশ হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। তিনি জানান, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর রাতে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বেসরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হামলায় গুরুতর আহত ফার্স্টলেডিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কলা রফতানিকারক থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৫৩ বছর বয়সী জোভেনেল মোইসি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বের মেয়াদ কবে শেষ হবে তা নিয়ে বিতর্কে কেটেছে তার বিগত কয়েক বছর। মোইসির দাবি তার পাঁচ বছরের মেয়াদকাল শেষ হবে ২০২২ সালে। এই দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে জাতিসংঘসহ কয়েকটি দেশের।

তবে বিরোধীদের দাবি, এই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারিতেই পদত্যাগ করা উচিত ছিলো প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসির। সংবিধানের একটি ধারা উল্লেখ করে তাদের দাবি ছিলো দায়িত্ব গ্রহণ নয়, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল গণনা শুরু হয়।

মেয়াদকালের বিতর্ক ছাড়া গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছেন জোভেনেল মোইসি। ফলে দেশটির শাসণক্ষমতায় যুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগও ছিলো তার বিরুদ্ধে।

জোভেনেল মোইসির পদত্যাগের দাবিতে এই বছরের শুরুতে হাইতিতে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে। রাজপথে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাস্তুচ্যূত হয়েছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ।