২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ডানপন্থী স্বৈরশাসকের অধীনে পড়তে পারে: কানাডীয় অধ্যাপক

কানাডার একজন রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র একজন ডানপন্থী স্বৈরশাসকের অধীনে চলে যেতে পারে। এই বাস্তবতায় ‘আমেরিকান গণতন্ত্রের বিপর্যয়’ থেকে নিজের দেশকে সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার রয়্যাল রোডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাসকেড ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক থমাস হোমার-ডিক্সন বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই সম্ভাবনা খারিজ করতে পারবো না শুধু এই কারণে যে, এটা দেখতে হাস্যকর হবে কিংবা কল্পনা করা খুবই ভয়াবহ ব্যাপার হবে।’

ওই অধ্যাপক বলেন, ‘২০১৪ সালেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবে এমন কথা প্র্রায় সবার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করছি যেখানে অযৌক্তিক জিনিস সাধারণ জায়গাগুলোতে নিয়মিতভাবে বাস্তব ও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।’

অধ্যাপক হোমার-ডিক্সনের বার্তা বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার গণতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে, এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চরম হয়ে উঠবে, ছড়িয়ে পড়বে ব্যাপক নাগরিক সহিংসতা। আগে না হলেও ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটি এক ডানপন্থী স্বৈরশাসকের মাধ্যমে শাসিত হতে পারে।’

ওই অধ্যাপক যেসব আশঙ্কার জায়গা দেখিয়েছেন তার সবই হলো সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসে ফেরার চেষ্টা ঘিরে। হয়তো দেখা যাবে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত রাজ্যের আইনসভাগুলো ডেমোক্র্যাটদের জয় অনুমোদন করতে চাইছে না। ওই অধ্যাপক সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য হবে দুইটি প্রতিশোধ এবং প্রতিহিংসা। যার ভিত্তি হবে এমন মিথ্যা যে, ২০২০ সালে তাকে নির্বাচিত জালিয়াতির মাধ্যমে হারিয়েছেন জো বাইডেন।

চার দশকের বেশি সময় ধরে সহিংস সংঘাতের স্কলার হোমার-ডিক্সন বলেন, আসন্ন এই সংকটের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে কানাডাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।