ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল নিয়ে কানাডার নতুন কৌশল, নজরে চীন

কানাডা নতুন ইন্দো-প্রশান্ত কৌশল ঘোষণা করেছে। এতে চীনকে মোকাবিলায় আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে। তবে এতে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্য ইস্যুতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে কাজের কথাও উল্লেখ করেছে কানাডা। রবিবার এই নতুন কৌশল ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কানাডা বলছে, ২৬ পৃষ্ঠার কৌশলপত্রে এতে ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে তাদের সেনা উপস্থিতি জোরদার করবে এবং মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় বিনিয়োগ নীতি কঠোর করা হবে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ যাতে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা কেড়ে নিতে না পারে তা ঠেকানো হবে।

দীর্ঘ প্রতিক্ষীত এই পরিকল্পনা ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলের ৪০টি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার রূপরেখা। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আর্থিক পরিমাণ ৩৭.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এতে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে চীনের ওপর, যে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, চীন একটি ক্রমবর্ধমান বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বৈশ্বিক শক্তি। আমাদের স্বার্থ ও মূল্যবোধের জন্য ইতিবাচক পরিবেশকে আমাদের দূরে ঠেলে দেওয়ার জন্য চীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে।

এতে বলা হয়েছে, অপর দেশগুলোর প্রতি বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং ক্রমবর্ধমান জবরদস্তিমূলক আচরণ করছে চীন। গোয়েন্দা, সাইবার নিরাপত্তাসহ এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য কানাডা বিনিয়োগ করবে বলে নতুন নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৮ সালে কানাডার পুলিশ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজির একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর চীন-কানাডা সম্পর্কে উত্তেজনা শুরু হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দুই কানাডীয় নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করে বেইজিং। গত বছর দুই দেশে গ্রেফতার হওয়া তিনজনই মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু সম্পর্কের টানাপড়েন অবসান হয়নি।

এই মাসের শুরুতে কানডা জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে চীনা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদের বিনিয়োগ পরিত্যাগ করার জন্য।