সংবাদ বিশ্লেষণ

চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: শুল্কের গোলাগুলিতে হারবে সবাই

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বদলে দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির আওতায় দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি, শিল্পখাতের পুনরুজ্জীবন ও কর্মসংস্থান তৈরির বিষয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আসছিলেন তিনি। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে তার অভিমত ছিল, ‘তারা আমাদের হারিয়ে দিয়ে দেশ দখল করতে চায়।’ ট্রাম্প বলেছিলেন, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করলে বাড়বে মার্কিন শিল্পের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান। এমন অভিমতের ভিত্তিতে নেওয়া হয় বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের একের পর এক সিদ্ধান্ত। এর আওতায় আসে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশের পণ্যও। অন্যদিকে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে থাকে মার্কিন পণ্যের ওপর। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ে এমন এক যুদ্ধে যাতে তার জয় অনিশ্চিত। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপ ও তার পাল্টা জবাব হিসেবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘটনার মধ্য দিয়ে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে কে জিতবে তা নিশ্চিত নয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ যুদ্ধে হারবে সবাই।180713145812-gfx-trade-war-china-usa-flags-shipping-port-exlarge-169

গত মার্চের ৯ তারিখে ট্রাম্প ইস্পাতের ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার আওতায় কানাডা-যুক্তরাজ্যের মতো দেশের পাশাপাশি আসে চীনও। যুক্তরাষ্ট্রে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির মাত্র ছয় শতাংশ চীন থেকে যেত। তারপরও চীন মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ২৭০ কোটি ডলারের চীনা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম রফতানির ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের জবাবে চীন ২৪০ কোটি ডলারের মার্কিন রফতানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।

জুনের ১৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র আবার চীনের রফতানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এবার ২৫ শতাংশ মার্কিন শুল্কের লক্ষ্যবস্তু হয় এক হাজার ১০০ চীনা পণ্য যার মূল্য পাঁচ হাজার কোটি ডলার। এসব পণ্যের মধ্যে অনেকগুলোই কাঁচামাল বা চূড়ান্ত পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এর জবাবে চীনও পাঁচ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

জুলাইয়ের ৬ তারিখ থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ৮১৮টি পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক কর্তন শুরু করে। এর আওতায় থাকা মোট চীনা পণ্যের মূল্য তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলার। চীনও তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। ২৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আবার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করে। এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, যার হার ছিল ২৫ শতাংশ। জবাবে চীনও এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। শুল্ক আরোপের হার ১০ শতাংশ। তবে ২০১৮ সালের পর তা ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের জবাবে চীন ছয় হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। তাদের নির্ধারিত শুল্কের পরিমাণও সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, তিনি আরও ছাব্বিশ হাজার সাতশ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন। যদি তিনি তা করেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হওয়া সকল চীনা পণ্যই মার্কিন শুল্কের কোপানলে পড়বে।

শুল্ক আরোপের পাশাপাশি বিনিয়োগ নিয়েও শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এপ্রিলের ১৬ তারিখে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করা চীনা প্রতিষ্ঠান জেডটিইর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠানটিকে ৭ বছরের জন্য মার্কিন প্রযুক্তি কেনার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ এপ্রিল জানা যায়, ইরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিলের ২৭ তারিখ মার্কিন মেধাসত্ত্ব লঙ্ঘনকারী দেশের মার্কিন অগ্রাধিকার তালিকায় চীনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মে মাসের ১০ তারিখেই জেডটিই যুক্তরাষ্ট্রের তার ব্যবসার বিশাল অংশ গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ২২ মে দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় উপনীত হয়। যুক্তরাষ্ট্র জেডটিইর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়। মে মাসের ২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র জেডটিইর বিরুদ্ধে ১৩০ কোটি ডলারের জরিমানা ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। বদলে চীন মার্কিন কৃষি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে মার্কিন গাড়ির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে।

বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে ট্রাম্প টুইটারে লিখেছিলেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য দেশের সঙ্গে হাজার হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তখন বাণিজ্য যুদ্ধ ভালো এবং সে যুদ্ধে জয় অনায়াসলভ্য। যে দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার সে দেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে গেলে, তারা আর বাণিজ্যই করতে পারবে না। এটা খবুই সহজ!’ কিন্তু চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এমন পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে যে বাণিজ্য যুদ্ধ হচ্ছে তা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। বিবিসি লিখেছে, আপাতদৃষ্টিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কাউকেই পিছিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না।

ট্রাম্প কেন এমন করছেন? শুল্ক আরোপ করে বিদেশি পণ্যের আমদানি কমিয়ে আনা ও দেশি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ট্রাম্পের ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ অন্যতম কারণ। তিনি তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাস্ট বেল্টকে’ আবার জাগিয়ে তুলতে চান। অপেক্ষাকৃত সস্তা পণ্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ধস নামা নিজস্ব শিল্পগুলোকে বোঝাতে ‘রাস্ট বেল্ট’ কথাটি ব্যবহৃত হয়। ট্রাম্প চান, ইস্পাত শিল্পের মতো অন্যান্য মার্কিন শিল্প খাতগুলোর উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে।

ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হলে গাড়ি ও অস্ত্র বানাবার মতো যথেষ্ঠ ধাতু যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে সুরক্ষা দিতে তিনি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কিন্তু সমালোচকদের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম কেনে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে কাছ থেকে। এই দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ।

আসলেই কি নিশ্চিতভাবে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ কাজ করবে? শুল্কের গুলিতে কি পরাজিত হবে চীন? শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত আমদানি কমে যাবে, চাহিদা বেড়ে যাবে স্থানীয় ইস্পাতের। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাভ হবে। কিন্তু খেসারত দিতে হবে অন্য শিল্পের মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে। যারা ইস্পাত বা অ্যালুমিনিয়াম তাদের পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করে তাদেরকে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে হবে। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে আরোপ করা শুল্কের প্রভাব এসে পড়বে প্রান্তিক ভোক্তাদের ওপর। ফলে মার্কিন নাগরিকদের বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ে গুনতে হবে আগের চেয়ে বেশি অর্থ। ‘পিটারসন ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিকস’ জানিয়েছে, ট্রাম্প যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন তার ৯০ শতাংশই পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল। স্বাভাবিকভাবেই, ওইসব কাঁচামাল ব্যবহার করে যেসব মার্কিন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের ব্যবসার ভালো হওয়ার বদলে বরং ক্ষতি হবে। কর্মসংস্থান তৈরির বদলে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ জীবিকা হারানোর কারণ হয়ে দেখা দেবে।

বাণিজ্য যুদ্ধে মার্কিন অর্থনীতির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আরেকটি উৎস হচ্ছে মার্কিন শুল্কের জবাবে চীনের ঘোষণা করা পাল্টা শুল্ক। চীনা ইস্পাতের ওপর শুল্ক আরোপের কারণে যেরকম যুক্তরাষ্ট্রে চীনের ইস্পাতের দাম বৃদ্ধি পায় এবং চাহিদা পড়ে যায়, ঠিক তেমনি মার্কিন পণ্যের ওপর চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপে চীনে মার্কিন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে এবং চীনের বাজারে তার দাম বেড়ে যায়। এতে কমে যায় চাহিদা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন রফতানি। যেমন ব্যাটিরিচালিত অত্যাধুনিক গাড়ি প্রস্তুতকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলা বিপদে পড়তে পারে। এমনিতেই চীনে আমদানি করার গাড়ির ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা রয়েছে। তার ওপর যদি মার্কিন প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে এখন নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় তাহলে টেসলার গাড়ি তার বেশি দামের কারণেই চীনা ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন রফতানি।

তাছাড়া চূড়ান্ত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল বা প্রয়োজনীয় উপকরণের ওপর মার্কিন শুল্ক কার্যকর হওয়ায় এখন চীন থেকে সেসব যোগাড়ে বেশি খরচ করতে হবে মার্কিন উৎপাদনকারীদের। সে ক্ষেত্রে হয় তাদের উৎপাদন ব্যাহত হবে না হয় চীনকে শুল্ক বাবদ অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কি জিতবে? নাকি শেষমেষ চীনেরই জয় হবে? বিশেষজ্ঞরা সবাই বলছেন, হারবে সবাই; কেউ বেশি, কেউ কম। তবে যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের মধ্যে কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নিয়ে রয়েছে মত-ভিন্নতা। ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের’ জ্যেষ্ঠ গবেষক এডওয়ার্ড আডেন বলেছেন, ‘যদি আমরা জানতে চাই, সবচেয়ে কম ক্ষতি কার হবে, তাহলে তার উত্তর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যাংক ডিবিএসের প্রধান অর্থনীতিবিদ তৈমুর বেগ বিবিসিকে বলেছেন, বাণিজ্য যুদ্ধ দুই দেশের কারোর জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে না। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের কারণে শুধুমাত্র এ বছরেই দুই দেশের প্রবৃদ্ধি ০.২৫ শতাংশ কম হবে। এর পরের অবস্থা হবে আরও খারাপ। তার ভাষ্য, ‘আগামী বছরে প্রবৃদ্ধি কমবের ০.৫০ শতাংশ করে। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আমি মনে করি। কারণ চীনের প্রবৃদ্ধির হার ৪-৫ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির হার ২-৩ শতাংশ।’

নিউ ইয়র্ক টাইমস উদ্ধৃত করেছে ‘পিটারসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিকসের’ সভাপতি অ্যাডাম পোসেনের উক্তি, ‘নির্বাচনি প্রচারণাকালে ট্রাম্পের সবচেয়ে ভালো যুক্তি ছিল, তিনি এমন কোনও অনর্থক যুদ্ধে জড়াবেন না যাতে আমেরিকানদের ধন-প্রাণ অকারণে খরচ হয়। কিন্তু ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্য যুদ্ধই তার জন্য অর্থনৈতিক আফগানিস্তান হয়ে উঠবে- ব্যয়বহুল, অনিঃশেষ এবং অর্জনহীন এক যুদ্ধ।’