রাজপরিবারের পরিচয় ছেড়ে সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করলেন রাজকুমারী আয়াকো

জাপানের রাজকুমারী আয়াকো তার রাজকীয় পরিচয় ত্যাগ করে সাধারণ একজন নাগরিককে বিয়ে করেছেন। সোমবার সম্রাট মেইজির মাজারে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আয়াকোর স্বামী কেই মোরিয়া জাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিপ্পন ইউসেনের কর্মকর্তা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকে রাজকুমারী আয়াকো তাকামোদোর নাম আয়াকো মোরিয়া।রাজকুমারী আয়াকো ও তার স্বামী মোরিয়া

আয়াকোর বয়স ২৮ বছর আর মরিয়ার ৩২। আয়াকো জাপানের সম্রাট আকিহিতোর কাজিন তাকামাদোর তৃতীয় কন্যা। বিয়েতে আয়াকো পরেছিলেন কিমোনো। তার চুল বাধা ছিল রাজকীয় স্টাইলেই। অন্যদিকে মোরিয়া পরেছিলেন কালো টাক্সিডো। তারা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি রাজকুমারীর প্রপিতামহ সম্রাট মেইজির স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। রাজকুমারী আয়াকো বলেছেন, ‘বিয়েতে অভিনন্দন জানাতে এতো মানুষের উপস্থিতি দেখে আমি খুবই খুশি।’ সেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অন্তত তিন প্রজন্ম ধরে সাধারণ নাগরিকদের বিয়ে করার পথ উন্মুক্ত রেখেছে জাপানের রাজপরিবার। সম্রাট আকিহিতো ছিলেন প্রথম যুবরাজ যিনি একজন সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন। সম্রাজ্ঞী মিচিকোর সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল টেনিস কোর্টে।

কিন্তু মেয়ে হয়ে রাজপরিবারের বাইরে বিয়ে করায় জাপানের আইন অনুযায়ী আয়াকোর রাজকীয় পরিচয় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তিনি রাজপরিবারের পারিতোষিক আর পাবেন না। শুধু জাপান সরকারের পক্ষ থেকে তাকে লাখখানেক ডলার দেওয়া হবে।

রয়টার্স লিখেছে, জাপানের রাজপরিবারে পুরুষের সংকট দেখা দিয়েছে। সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে রয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র সদস্য। এরা হলেন যুবরাজ নারুহিতো, তার ভাই ফুমিহিতো, তার ভাতিজা হিসাহিতো ও মাসাহিতো। যুবরাজ নারুহিতো আগামী বছর তার বাবা সম্রাট আকিহিতোর অবসরের পর সিংহাসন আরোহণ করবেন।

এই অবস্থায় উত্তরাধিকার রীতির পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছেন রাজপরিবারের সদস্যরা। কিন্তু রক্ষণশীলরা কোনও নারীকে সম্রাটের মুকুট পরতে দিতে রাজি নয়।