রাখাইন সফরে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন বার্গেনার মঙ্গলবার রাখাইনের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন করবেন। সহিংসতা কবলিত রাখাইনে জাতিসংঘের সহযোগিতার উপায় খোঁজার জন্য তিনি এই সফর করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমস।

un-1

আইনসভার সিনিয়র এক সদস্য জানিয়েছেন, জাতিসংঘের বিশেষ দূত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাখাইনের পার্লামেন্টের সদস্যদের সাথে বৈঠক করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সোমবার রাখাইনের পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ মিয়া থান বলেন, আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমরা জানি না। কিন্তু আগামীকাল (মঙ্গলবার) বৈঠকের সূচি নির্ধারিত করা হয়েছে।

মংডুর প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউ ইয়ে হতু সোমবার জানিয়েছেন, মংডুতে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের বৈঠক সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, মংডুতে তার সফর সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার রাজধানী নেপিদোতে পৌঁছান ক্রিস্টিন। তিনি সমাজকল্যান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কিনা তা নিশ্চিত না।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ক্রিস্টিন মিয়ানমার পৌঁছেছেন শনিবার এবং এক সপ্তাহ অবস্থান করবেন।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ক্রিস্টিন রাখাইনের কয়েকটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি কিয়াকতাউ, বুথিডাউং, মংডু ও সিতের পুনস্থানান্তর কেন্দ্রগুলোও ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি স্থানীয় বেসামরিক বাসিন্দা ও সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও শরণার্থীবিষয়ক কমিশন (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগে সহযোগিতা করছে।

২০১৭ সালের আগস্টে বিজিপির ফাঁড়িতে আরসা’র হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে হামলার পর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। এমন বাস্তবতায় জাতিগত নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা।