ফাঁদ পেতে ৯ জনকে খুনের কথা স্বীকার করলো ‘টুইটার কিলার’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁদ পেতে ৯ ব্যক্তিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জাপানের ‘টুইটার কিলার’ তাকাহিরো শিরাইশি। আদালতে তার আইনজীবী দাবি করেছেন, কাউকে বিনা অনুমতিতে খুন করেনি সে। মৃত্যুর আগে তার শিকার ব্যক্তিরা তাকে খুনের অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার তাকাহিরো স্বীকার করেছে,  টুইটারে যোগাযোগ করে ৯ জনকে হত্যার কথা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

010101

২৯ বছরের তাকাহিরো শিরাইশির আইনজীবী দাবি করেছেন, যারা টুইটারে আত্মহত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন, তাকাহিরো বেছে বেছে তাদেরকেই খুন করেছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ লঘু করা উচিত।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, খুন করার পরে তাকাহিরো মৃতদেহগুলোকে টুকরো টুকরো করে ফেলতো। সেগুলো শীতল বাক্সে ভরে রেখে দিত।

আদালতে যখন তার বিরুদ্ধে ৯ খুনের অভিযোগ উল্লেখ করা হয় তখন সে কোনও প্রতিবাদ করেনি। উল্টো বলে, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য। আমি মোট ৯টি খুন করেছি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তাকাহিরোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আছে।

তাকাহিরোর শিকার হয়েছে ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সীরা। সে টুইটারে খুঁজে দেখত, কারা আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাদের বলতো, আমি আপনাকে মরতে সাহায্য করব। কাউকে বলত, আমিও আপনার সঙ্গে আত্মহত্যা করতে চাই।

খবরে বলা হয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকাহিরোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। জাপানে সাধারণত ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু তার আইনজীবী বলছেন, তাকাহিরো যেহেতু খুনের আগে অনুমতি নিয়েছিল, তাই তার ছয় মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।  

তবে মাইনিচি শিমবুম নামে এক সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে তাকাহিরো নিজে বলেছে, আমি কারও কাছে অনুমতি নিইনি। আমি যাদের খুন করেছি, তাদের প্রত্যেকের মাথার পিছন দিকে ক্ষতচিহ্ন ছিল। তারা যাতে কোনওরকম বাধা না দিতে পারে, সেজন্যই মাথার পিছন দিকে আঘাত করতাম। এতে প্রমাণিত হয়, আমি কারও অনুমতি নিয়ে খুন করিনি।